আমরা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে গিয়ে অনেক সময় দেখি ফোন হ্যাং হয়ে যায়। তখন অ্যাপস খুলতে দীর্ঘ সময় লাগে। ইন্টারনেট চালানোও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে আপনি যদি কয়েকটি সহজ বিষয়ের দিকে নজর রাখেন তাহলে সাধের মোবাইলটি হ্যাং হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই তৈরি হবে না। আসুন জেনে নেয়া যাক বিষয়গুলো সম্পর্কে-
ব্যাকগ্রাউন্ডের অ্যাপগুলো বন্ধ করে দিন
ব়্যাম মেমোরি কম হলেই সাধারণত স্মার্টফোন হ্যাং করে। তাই ফোন কেনার আগে দেখে নিন ব়্যাম বেশি কি না। আর যদি আপনার বর্তমান মোবাইলটির ব়্যাম কম হয়, তাহলে ভারি এইচডি ভিডিও কিংবা গেম ডাউনলোড না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। একই সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ডের অ্যাপগুলো বন্ধ করে দিন।
টাস্ক ম্যানেজারে গিয়ে চলতি অ্যাপসগুলো বন্ধ করে দিন
আপনার অজান্তেই ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে একাধিক অ্যাপস। যাতে মোবাইল হ্যাং হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। টাস্ক ম্যানেজারে গিয়ে চলতি অ্যাপসগুলো বন্ধ করে দিন। থ্রিডি ওয়ালপেপার দারুণ ভালোবাসেন? স্ক্রিনে আলো জ্বললেই জীবন্ত হয়ে ওঠে ওয়ালপেপারটি? এই ধরনের ওয়ালপেপার মোবাইল থেকে ঝটপট সরিয়ে ফেলুন। এক্ষেত্রে স্টোরেজও যেমন বেশি নেয়, তেমনই ব্যাটারিও দ্রুত কমে যায়।
ক্যাশ পরিস্কার করুন
ফোন মেমোরি অতিরিক্ত ব্যবহার করলেই স্মার্টফোন হ্যাং হয়। তাই এক্সটারন্যাল স্টোরেজ অপশন থাকলে সেটি ব্যবহার করুন। মাঝে মধ্যে সেটিংস থেকে ইন্টারনেট মেমোরির ক্যাশ পরিস্কার করুন।
অপ্রয়োজনীয় ডাটা ডিলিট করুন
কাজের কারণে আপনাকে যদি বার বার অনেক কিছু ডাউনলোড করতে হয়, তাহলে অবশ্যই দিনের শেষে নিজের ফোন থেকে অপ্রয়োজনীয় তথ্য বা ডাটা ডিলিট করে দেবেন।
অ্যান্টি ভাইরাস ব্যবহারের প্রয়োজন নেই
মোবাইলে আলাদা করে ডাউনলোড করা অ্যান্টি ভাইরাস ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।
মাল্টিটাস্কিং:
ব়্যাম কম থাকলে একসঙ্গে একাধিক অ্যাপ ব্যবহার না করাই ভাল। পাশাপাশি মোবাইলে আলাদা করে ডাউনলোড করা অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।
লাইভ ওয়ালপেপার:
৩ডি ওয়ালপেপার ব্যবহার করতে ভালোবাসেন? এ ধরনের ওয়ালপেপার মোবাইল থেকে ঝটপট ডিলিট করে ফেলুন। এসব ওয়ালপেপার স্টোরেজ যেমন বেশি নেয়, তেমনি ব্যাটারিও দ্রুত কমে যায়।
Discussion about this post