বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া একে অপরকে টেক্কা দিতে সব সময়ই প্রস্তুত। সম্প্রতি রাশিয়া শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ গতির নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায়। মাস না পেরোতেই একই ধরনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে মাক পাঁচ নামে এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার খবর জানায় পেন্টাগন। পেন্টাগন জানায়, দিনকয়েক আগে তারা নতুন এ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নতুন এই মিসাইলের প্রজেক্টের নাম ‘হাইপারসনিক এয়ার-ব্রিদিং ওয়েপন কনসেপ্ট’। সামরিক অস্ত্র তৈরির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা রেথিওন টেকনোলজিস অ্যান্ড নরথপ গ্রুম্যান এই সমরাস্ত্রটি তৈরি করেছে। সফল পরীক্ষার পর মার্কিন সামরিক বাহিনীর কাছে এর প্রযুক্তিগত তথ্য দেওয়া হবে। সামরিক বাহিনী এরপর ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরির দায়িত্ব দেবে সরকারি সংস্থাকে।
প্রস্তুতকারক সংস্থাটি জানিয়েছে, মিনিটে ৬০ মাইল বা ১০০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে পারে মিসাইলটি। সেকেন্ডে এক মাইল, যা শব্দের গতিবেগ থেকে যা পাঁচ গুণ বেশি।
পরীক্ষার সময় একটি যুদ্ধবিমানের উইং থেকে মিসাইলটি নিক্ষেপ করা হয়। এর এক সেকেন্ডের মধ্যে একটি রকেট বুস্টারের মাধ্যমে মিসাইলটির গতিবেগ অনেকটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে মাক ওয়ান গতি পায় মিসাইলটি। এর এক সেকেন্ডের মধ্যে মিসাইলটির মধ্যে লাগানো আরেকটি ইঞ্জিন চালু করে দেওয়া হয়। যা গতিবেগ শব্দের পাঁচ গুণে পৌঁছে দেয় মিসাইলের গতিবেগ।
কিছুদিন আগেই রাশিয়া হাইপারসনিক মিসাইলের পরীক্ষা করেছিল। রাশিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল, জাহাজ থেকে ওই মিসাইল ছোড়া হয়েছিল। ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, মিসাইলের গতিবেগ এতটাই যে, তা চোখে দেখা যায় না। ওই মিসাইলের মাধ্যমে রাশিয়া অতি আধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের সম্ভার তৈরি করতে শুরু করল বলে জানিয়েছিলেন দেশের প্রেসিডেন্ট। তারপরই যুক্তরাষ্ট্রের এই পরীক্ষা কূটনৈতিক উত্তর বলে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে।
Discussion about this post