নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণভবন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ শেষে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের কারণে কোনো কোনো অভিভাবক ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে এখনও ভয় পাচ্ছেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, যদিও কয়েকটা ঘটনা ঘটেছে কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে অনেক অপপ্রচার চলছে। এ কারণে কোনো কোনো অভিভাবক হয়তো একটু ভয় পাচ্ছেন। ভাবছেন ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাবেন কি পাঠাবেন না। শিক্ষার্থী নিজে অথবা বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে আমরা তাদের একেবারে না করে দিচ্ছি।
মন্ত্রী বলেন, যারা এবারের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থী তারা প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতো। এখন দেখা যাচ্ছে তাদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তারা তাদের সিলেবাস সম্পূর্ণ করেছে। এ কারণে হয়তো কম আসছে।
ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা শিগগিরই প্রাথমিক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে বিচার-বিশ্লেষণ করবো।
শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, যাদের বয়স ১৮ বছর হয়ে যাবে তারা শিক্ষার্থী হিসেবে নিবন্ধন করতে পারবে। তারা পরীক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বা উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষেরই হোক।
দীপু মনি বলেন, সংক্রমণ নিয়ে লুকানোর কিছু নেই। কোথাও সংক্রমণ হলে সঙ্গে সঙ্গে বের করার চেষ্টা করি। কারণ আপনি বাড়িতে বা আসার পথে সংক্রমিত হতে পারেন। এখন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে কেউ সংক্রমিত হয়নি। একটা হোস্টেলে তিনজন শিক্ষার্থীর সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। সেই হোস্টেল এবং ক্লাস বন্ধ করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে জেনে নেবেন সেখানে সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে কিনা? অভিভাবকরা আস্থা রাখতে পারেন। আমরা বলছি না ছেলে-মেয়েদের পাঠাতেই হবে।
মন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ চার শতাংশের একটু ওপরে। সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে আসছে। এখন সবকিছু খোলা। আমরা সবাই যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি তাহলে এই অবস্থা আরও উন্নত হবে। জোর গতিতে টিকা কার্যক্রম চলছে।
এদিকে করোনাকালে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়া নিয়ে দীপু মনি বলেন, বেশিরভাগ বন্ধ হয়েছে কিন্ডারগার্টেন। দেখা যাচ্ছে তারা ভাড়া বাড়ি নিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন। তারা রেজিস্ট্রেশনভুক্ত নয়। তাহলে আমরা হয়তো প্রণোদনা দিতে পারতাম। সহযোগিতা চাইতে হলে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় চলে আসা উচিত। এতে তারা প্রণোদনা নেওয়ার সুযোগ পাবে।
Discussion about this post