নিজস্ব প্রতিবেদক
২০২১ সালের এসএসসি সমমানের পরীক্ষা আগামী ১৪ নভেম্বর ও ২ ডিসেম্বর এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছে নিজ আসনে বসতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পরে কেউ এলে দেরির কারণ উল্লেখ করে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে। নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ড থেকে দ্রুত এমন নির্দেশনা কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা সব বিষয়ে না নিয়ে কেবল গ্রুপভিত্তিক নৈর্বাচনিক তিন বিষয়ে নেওয়া হবে। পরীক্ষা হবে ৫০ নম্বরের। তিন ঘণ্টার পরীক্ষা হবে দেড় ঘণ্টায়। উত্তরপত্রে ১০০ নম্বরের ওপর মূল্যায়ণ করা হবে। করোনার কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে নিজ আসনে বসতে হবে। যদি বিশেষ কারণে কেউ দেরি করে, তবে তাকে কেন্দ্রের ফটকে রেজিস্টার খাতায় কারণ উল্লেখ করে প্রবেশ করতে হবে। সেসব তথ্য পরীক্ষা শেষে প্রতিদিন বিকেলে শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে পাঠাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যানজট, ব্যক্তিগত সমস্যাসহ যৌক্তিক কারণে কারও দেরি হলে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে। কেউ অযৌক্তিক কারণে নিয়মিত দেরি করলে তার কাছে কারণ জানতে চাওয়া হবে। এ বিষয়ে শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হবে। প্রয়োজনে তার অভিভাবকদেরও ডেকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হতে পারে।’
জানা গেছে, দুপুর ২টা থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী ওএমআর শিটট বিতরণ করা হবে। দুপুর ২টায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ, দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে বহুনির্বাচনী (ওএমআর শিট) উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে।
পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিচার ফোন (স্মার্ট ফোন ব্যতীত) ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া পরীক্ষার হলে অন্য কেউ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। পরীক্ষার ফল প্রকাশের সাতদিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
জানা গেছে, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার প্রতি বিষয়ে পরীক্ষার মোট নম্বরও কমে যাবে। একই সঙ্গে প্রশ্নপত্র থেকে উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন বাছাইয়ে বেশি সুযোগ পাবে।
এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন বাছাই করার বেশি সুযোগ পাবে। যেমন- আগে যেখানে ১০টি প্রশ্ন থেকে ৮টির উত্তর দিতে হতো, সেখানে এখন হয়তো সেই ১০টি প্রশ্নই থাকবে। তবে তার মধ্যে তিনটি বা চারটির উত্তর দিতে বলা হতে পারে।
Discussion about this post