বিনোদন ডেস্ক
মানুষ এক জীবনে হাজার হাজার কোটি টাকা উপার্জন করে, গাড়ি করে, বাড়ি করে; একটা সময় সবই চলে যায়। তার ভিড়ে কিছু মানুষ এমন কিছু কাজ করে গেছেন যা শত সহস্র বছর পেরিয়েও এই পৃথিবীতে টিকে আছে নন্দিত হয়ে, অনুপ্রেরণায়।
সেই অনুপ্রেরণার পৃথিবীতে গাজী মাজহারুল আনোয়ার লিখলেন অনবদ্য এক ইতিহাস। প্রায় ২০ হাজার গান লিখেছেন তিনি। যা অবিশ্বাস্য, বিস্ময়কর ও অসাধারণ এক সাফল্য।
মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম, প্রকৃতি, জীবনবোধ, প্রেম, বিরহ, স্নেহ; অনুভূতির বৈচিত্রময় প্রকাশে গেল কয়েক দশক ধরেই এদেশের মানুষের কাছে খুব প্রিয় গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা গান। অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি।
একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ এক জীবনে অনেক অর্জন যুক্ত হয়েছে তার সাফল্যের মুকুটে। এবার পেতে যাচ্ছেন ‘আরটিভি মিউজিক অ্যাওয়ার্ড ২০২০’- এ আজীবন সম্মাননা।
আসছে ২ অক্টোবর শনিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও-এর বলরুমে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অনুষ্ঠানটি।
গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার ১৯৬৪ সালে রেডিও পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের সূচনালগ্ন থেকে নিয়মিত গান ও নাটক রচনা করেছেন। স্বাধীনতা ও দেশপ্রেম নিয়ে অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা ও সুরকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার একাধারে একজন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক।
তিনি প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য গান লেখেন ১৯৬৭ সালে ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ চলচ্চিত্রের জন্য। ১৯৬৭ সালে চলচ্চিত্রের সাথে যুক্ত হওয়ার পর থেকে কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গান লেখাতেও অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেন তিনি।
১৯৮২ তার প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘নানটু ঘটক। ৪১টি চলচ্চিত্র পরিচলনা করেন তিনি যার অধিকাংশই ছিল দর্শক নন্দিত।
গাজী মাজহারুল আনোয়ার ২০০২ সালে একুশে পদক এবং ২০২১ সালে সংস্কৃতিতে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি স্বাধীন দেশের সর্বপ্রথম পুরস্কার ‘বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
জাপান বাংলাদেশ ডটকম অ্যাওয়ার্ড, নিগার অ্যাওয়ার্ড পাকিস্তান এবং ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ তার অর্জিত পুরস্কারের সংখ্যা ১২১টিরও অধিক।
‘জয় বাংলা বাংলার জয়, একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়, একতারা তুই দেশের কথা বলরে আমায় বল,’ বিবিসি বাংলা কৃত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশটি বাংলা গানের তালিকায় রয়েছে তার লেখা এই তিনটি গান।
Discussion about this post