আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মালয়েশিয়ায় যেসব শিক্ষক করোনার টিকা নিতে অস্বীকার করবেন, তাদের শাস্তিমূলক পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে হবে। এতে তারা চাকরিচ্যুতও হতে পারেন। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দেশটির সরকার এমন ঘোষণা দিয়েছে।
দেশটিতে গত দেড় বছর ধরে অনলাইন শিক্ষা চলছিল। এবার আগামী রোববার (৩ অক্টোবর) থেকে তারা ক্লাসে ফিরবেন। যদিও শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থী ধারণ ক্ষমতা পঞ্চাশ শতাংশ রাখা হয়েছে। সৌদি আরবভিত্তিক আরব নিউজ এমন খবর দিয়েছে।
মালয়েশিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনসেবা বিভাগ। শিক্ষামন্ত্রী রেদজি জিদিন হুঁশিয়ারি করে বলেন, যেসব শিক্ষক এখনো টিকা নেননি, তাদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এমনকি তাদের সঙ্গে করা চাকরির চুক্তি বাতিলও করা হতে পারে।
শিক্ষকসহ সরকারি কর্মচারীদের চাকরি ঠিক রাখতে পহেলা নভেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে দক্ষিণপূর্ব এশীয় দেশটির জনসেবা অধিদপ্তর। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারি চিকিৎসকদের ছাড়পত্র ছাড়া যদি কোনো কর্মকর্তা টিকা না নেন, তবে বর্তমান নিয়মানুসারে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কুয়ালালামপুর ভিত্তিক শিক্ষক মারিয়া বলেন, এখানকার শিক্ষকদের মধ্যে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে মারাত্মক আতঙ্ক রয়েছে। যারা টিকা নেননি, তাদের মধ্যে ভয় কাজ করছে। কেউ কেউ ধর্মীয় অজুহাতও দেখাচ্ছেন। যেখানে কোভিড-১৯ রোগ নিয়ে মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে, সেখানে এ ধরনের আচরণ খুবই হতাশাজনক।
মালয়েশিয়ার সাবেক উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. লি বুন চাই বলেন, শিশুরা টিকা নিলে তাদের রোগপ্রতিরোধ শক্তি বেড়ে যায়। কিন্তু ১২ বছরের চেয়ে কম বয়সী শিক্ষার্থীরা টিকা নেবে কিনা; তেমন কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। এসব শিক্ষার্থীদের জন্য টিকা নেয়নি এমন শিক্ষকরা ঝুঁকিপূর্ণ।
ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. লোকমান হাকিম সোলাইমান বলেন, টিকা নেয়নি এমন শিক্ষকদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ওপর ভিত্তি করে বদলি করা উচিত। কিন্তু জনসেবা অধিদপ্তরের ঘোষণার পর সরকারি চাকরিজীবীদের তা মেনে চলতে হবে।
Discussion about this post