অনলাইন ডেস্ক
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র- নাসা প্রথমবারের মতো এটি ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ গ্রাফিক উপন্যাস প্রকাশ করেছে। যার নাম রাখা হয়েছে- ‘ফার্স্ট উইম্যান’।
উপন্যাসটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছেন ক্যালি রদ্রিগেজ নামের এক নারী। কাল্পনিক কমিকের বইয়ের ইতিহাসে যিনি প্রথম পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ অভিযানে গিয়েছিলেন।
‘ফার্স্ট উইম্যান’ উপন্যাসের মধ্য দিয়ে নাসা একই সঙ্গে আভাস দিয়েছে যে, আর কিছু দিন পর চাঁদে যে নারী নভোচারী হাঁটবেন, তিনি হবেন একজন অশ্বেতাঙ্গ।
নাসার ‘আর্টেমিস’ অভিযানে চাঁদে একজন নারী নভোচারীকে পাঠানো হবে। তিনিই হবেন প্রথম নারী মহাকাশচারী যিনি হাঁটবেন চাঁদের বুকে। সেই সঙ্গে জানিয়ে রেখেছে, সেই নারী নভোচারী হবেন অশ্বেতাঙ্গও।
শনিবার, নাসার উপ-প্রশাসক পাম মেলরয় বলেন, ক্যালির গল্পের মাধ্যমে উঠে এসেছে কীভাবে আবেগ, নিষ্ঠা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে মানুষের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করা যায়।
তিনি বলেন, ‘ক্যালি সবার মতো তার দক্ষতা অর্জন করেছে এবং শেখার সুযোগ পেয়েছে। সেই সঙ্গে নাসার নভোচারী হওয়ার চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয় উঠেছে’।
৪০ পৃষ্ঠার কমিক বইটিতে চাঁদে ভ্রমণ, অবতরণ এবং অন্বেষণের জন্য নাসার প্রযুক্তি তুলে ধরে হয়েছে। সেই সঙ্গে বিশেষ ডিজিটাল কারিশমায় সব চরিত্রকে জীবন্ত করে তোলা হয়েছে।
নাসার গ্রাফিক উপন্যাসে আরো তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে যাবতীয় ঘাত-প্রতিঘাত, বাধা পেরিয়ে ক্যালি চাঁদে পৌঁছালেন। কীভাবে চাঁদে যাওয়ার স্বপ্নপূরণ হল ক্যালির।
ক্যালির রোবট ‘আরটি’-এর সঙ্গে রয়েছে তাঁর জীবনযুদ্ধ, কখনও লড়াইয়ে হেরে যাওয়ায় হতাশা আবার কখনও সেই লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার কাহিনী।
প্রসঙ্গত: নাসার ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ থেকে ডাউনলোড করে পড়ে নেওয়া যাবে গ্রাফিক উপন্যাস- ‘ফার্স্ট উইম্যান’।
Discussion about this post