আন্তর্জাতিক ডেস্ক
শীঘ্রই আফগানিস্তানের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে খুলে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) তালেবান সরকার এমন তথ্য দিয়েছে।
আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত উচ্চশিক্ষামন্ত্রী আবদুল বাকি হাক্কানি বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা শেষ হয়েছে। শিগগিরই ইসলামিক আমিরাত-সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হবে। শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
টোলোনিউজের বরাতে এনডিটিভি এমন খবর দিয়েছে। আগস্টের মাঝামাঝিতে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিলে সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইতিমধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া অব্যাহত রাখতে প্রাইভেট ভার্সিটির ইউনিয়নের সঙ্গে আফগানিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়। এরপরই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কিন্তু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে বিলম্ব করায় তালেবানের সমালোচনায় সোচ্চার শিক্ষার্থীরা। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ওমিদ মাওলাভি জাদা বলেন, বিভিন্ন সময় আমরা দেখে এসেছি: তারা একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেন, এক মাস পার হওয়ার পরেও তা চূড়ান্ত হয় না।
বুধবার আফগানিস্তানের রাজধানীর পাসপোর্ট অফিসের ভিড় এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তালেবান নিরাপত্তারক্ষীদের মাঝে মাঝে লাঠিপেটাও করতে হয়েছে। তালেবান কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের পাসপোর্ট সেবা শনিবার থেকে চালু হবে।
আগস্টে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি সরকারের পতনের পর এই সেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে দেশ ছাড়তে মরিয়া অনেক আফগান আটকাও পড়েন।
মাহির রাসুলি নামের এক পাসপোর্ট আবেদনকারী বলেন, আমি পাসপোর্ট নিতে এসেছি, কিন্তু দেখছেনই তো এখানকার অবস্থা, অসংখ্য সমস্যা, এই পদ্ধতি কাজ করছে না। কখন আসতে হবে সে সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাব দিতে কোনো কর্মকর্তা নেই। মানুষজন বিভ্রান্ত।
Discussion about this post