নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের মাটিতে একটি আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাকেন্দ্রের সকল প্রকারের সুবিধা নিয়ে রাজধানীর উত্তরাতে সিমেক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির নতুন ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে।
২০১৮ সালে বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত এই প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যেই রাজধানীতে নিজস্ব ক্যাম্পাস ও ময়মনসিংহে আউটার ক্যাম্পাসের কাজ শুরু করেছে। ভোকেশনাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভিন্ন বিষয়ে ট্রেনিং করানোর পাশাপাশি এসডিজি অ্যাকশন রিসার্চ সেন্টার ও ইন্টারন্যালনাল রিসার্চ সেন্টারের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সেমিনার, কর্মশালা, পাবলিক লেকচার ও গবেষণাপত্র প্রকাশে কাজ করছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও, সম্প্রতি এই ইন্সটিটিউটটি জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় কর্তৃক ফ্রিল্যান্সিং অ্যাসেসম্যান্ট সেন্টার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
গবেষণার জন্য নিবেদিত এমন একটি উদ্যোগ নেওয়ায় সিমেক ইন্সটিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে গবেষকরা বলেন, ‘সিমেকের এই উদ্যোগ তরুণ ও উদীয়মান গবেষকেদের সময়োপযোগী ও উদ্ভাবনী গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করবে।’
দিল্লীর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার শিক্ষক ও সিমেক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির রিসার্চ ফেলো ও কোঅর্ডিনেটর বাংলাদেশি গবেষক ড. সঞ্জীব রায় বলেন, ‘বিশ্বায়নের যুগে জ্ঞানচর্চা ও মানসম্মত বিদ্যাশিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে বিশ্বমানের গবেষণার ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।’
পুষ্টিবিদ, কৃষি গবেষক ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মাস্টার ট্রেইনার (এসডিজি) ড. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘গবেষণার মাধ্যমেই দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জণের পথ দেখানো সম্ভব। সিমেকের এই গবেষণাকেন্দ্র নতুন গবেষণা ও পলিসি তৈরির মাধ্যমে দিক নির্দেশনা দিতে পারে।’
সিমেক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির প্রেসিডেন্ট, আইইউবিএটি’র কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিন অধ্যাপক ড. মনিরুল ইসলাম দেশ-বিদেশের মেধাবী গবেষকদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সিমেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পযায়ে গবেষণা প্রকল্প, স্কিল ডেভলপমেন্ট প্রশিক্ষণ ও কর্মমূখী শিক্ষার প্রসারে কাজ করে যাবে।’
ইন্সটিটিউট ভবনে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ও গবেষকেরা।
অনুষ্ঠানের সমাপণী বক্তব্যে সিমেক গ্রুপের চেয়ারম্যান সরদার মো. শাহীন বলেন, ‘জাপানের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশে একটি বিশ্বমানের গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্য থেকেই সিমেকের যাত্রা।’ সামাজিক শিক্ষায় শিক্ষিত একটি মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সিমেক ভূমিকা রেখে যাবে বলে প্রত্যয় জানান তিনি।
Discussion about this post