নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘ দেড় বছর পর খুলেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হল। লম্বা একটা বিরতির পর হলের কক্ষগুলোতে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠছে পরিবেশ। আর আনন্দ-উচ্ছ্বাসে প্রাণ ফিরে পেলো ক্যাম্পাসগুলো।
শনিবার (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে কমপক্ষে এক ডোজ টিকা সম্পন্নকারী আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা কার্ড দেখে হলে প্রবেশ করানো হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার, বিস্কুট, মাস্ক, ফুল ও চকলেট দিয়ে বরণ করতে দেখা গেছে হল কর্তৃপক্ষকে। শরীরের তাপমাত্রা মেপেও শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করানো হয়েছে।
তবে অন্যদিকে বিপাকে পড়েছেন ‘গণরুমে’র শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপাতত তাদের হলে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বের করার ক্ষেত্রে হলে প্রবেশ করতে পারবেন তারা। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে আবাসন সুবিধা পাচ্ছেন মাত্র ২৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। হলগুলোতে আসন সংকটের কারণে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী ‘গণরুমে’ অবস্থান করেন। তারা হল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এক কক্ষে একাধিক শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে অবস্থান করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের কারণে তারা আজ থেকে হলে উঠতে পারছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল বলেন, এক ডোজ টিকা নিয়েছে ও শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের হলে ওঠার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি ও শরীরের তাপমাত্রা মেপে আমরা শিক্ষার্থীদের হলে তুলছি। শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য আমাদের হল কর্তৃপক্ষের সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।
‘গণরুম’ খোলার ব্যাপারে রেবা মন্ডল বলেন, ‘আমরা আপাতত ‘গণরুম’ বন্ধ রেখেছি। সেখান থাকা শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস বের করে নিতে পারবে, কিন্তু অবস্থান করতে পারবে না।‘
তাবে‘কিছুদিন পর আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে এ ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’
Discussion about this post