খেলাধূলা ডেস্ক
ইতালিকে আগের ম্যাচেই থামিয়েছে স্পেন। ইউরো জয়ীদের সামনে নেশনস লিগের শিরোপা জেতার হাতছানি থাকলেও আজ্জুরিদের থামতে হয় সেমিফাইনালে। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের আমেজ তাদের মধ্যে থাকার কথা নয়। তবে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের ব্যাপার তো ছিলই।
সেটা প্রমাণে বেলজিয়ামের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ভুগতে হয়েছে রবের্তো মানচিনির দলকে। যদিও দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সে ২-১ গোলের জয়ে ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত করেছে ইতালি।
জুভেন্টাসের আলিয়েঞ্জ স্টেডিয়ামে বল পজেশনে পিছিয়ে থাকলেও জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ইতালি। সোনালি প্রজন্মের বেলজিয়াম নেশনস লিগে ফেভারিট থাকলেও হেরে যায় সেমিফাইনালে। আর আজ (রবিবার) তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও হার দেখতে হলো তাদের।
অথচ ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকায় ফাইনালের পথ এঁকে ফেলেছিল বেলজিয়াম। কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর নতুন গল্প লিখে ম্যাচটি ফ্রান্স ৩-২ গোলে জিতে নেয়। সেই ধাক্কা বেলজিয়াম স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এডেন হ্যাজার্ড ও রোমেলু লুকাকুকে ছাড়া খেলতে নেমে হেরেছে ইতালির কাছে।
আক্রমণ-পাল্ট আক্রমণের ম্যাচের প্রথমার্ধটা ছিল গোলশূন্য। তবে বিরতি থেকে ঘুরে এসেই লিড নেয় ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। ৪৬ মিনিটে চমৎকার ভলি থেকে ইতালিকে এগিয়ে নেন নিকোলো বারেল্লা। আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা মানচিনির দল বেলজিয়ামকে আরও চেপে ধরে ৬৫ মিনিটে দমেনিকো বেরার্দির পেনাল্টি গোলে। ফেদেরিকো চিয়েসা প্রতিপক্ষের ডি বক্সে ফাউলের শিকার হলে রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল হয়নি বেরার্দির।
২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া বেলজিয়ামের দুর্ভাগ্য। তিনবার বল বারে আঘাত করেছে! ইয়ানিক কারাসকো ও মিচি বাটসুয়াইর শট জালে জড়ালে ম্যাচের চিত্রনাট্য অন্যরকম হতে পারতো। অনেক সুযোগ নষ্টের পর অবশেষে ৮৬ মিনিটে বেলজিয়াম এক গোল শোধ দেয় কার্লেস ডি কেটেলায়েরের লক্ষ্যভেদে। প্রতিআক্রমণ থেকে খেলায় ইঙ্গিত দিলেও দ্বিতীয় গোল আর আসেনি বেলজিয়ামের। তাই ২-১ গোলের ব্যবধান রেখে জয় নিয়ে ব্রোঞ্জ মেডেল নিশ্চিত করে ইতালি।
Discussion about this post