খেলাধূলা ডেস্ক টি-টোয়েন্টি’র মেগা ইভেন্ট এবার বসছে মধ্যপ্রাচ্যের মরুর বুকে। আমিরাতের ঐতিহাসিক শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম যার অন্যতম ভেন্যু। পরিসংখ্যান বলছে, শারজাহর ২২ গজ ব্যাটিং স্বর্গ। তবে বাংলাদেশের কাছে একেবারেই অচেনা শারজাহ। নব্বইয়ের দশকে ৫টা ওয়ানডে খেললেও টি-টোয়েন্টি খেলা হয়নি এখনও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু পরিচিতি নিয়ে খেলার সময়ের বিশেষ আয়োজনে থাকছে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আদ্যোপান্ত।
১৯৮২ সালে স্থাপিত এই গ্রাউন্ডের দর্শক ধারণক্ষমতা প্রায় ১৬ হাজার। ফ্লাডলাইট, ডায়মন্ড বক্স, ভিআইপি বক্স থেকে শুরু করে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা আছে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ।
একক ভেন্যু হিসেবে সর্বোচ্চ ২৪০ ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজনের রেকর্ড গড়া ঐতিহাসিক ভেন্যু এটি। তবে এবার ধুমধাড়াক্কা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের মেগা ইভেন্টের অংশ হতে যাচ্ছে শারজাহ।
২০১৩ সালে আফগানিস্তান-স্কটল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরুর পর এই ভেন্যুতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি হয়েছে মোটে ১৪টি। তবে আইপিএলের কল্যাণে এর ২২ গজের চরিত্রটা সবার নখদর্পণে। শারজাহর ২২ গজে রানটা ১৮০ থেকে ২০০’র মধ্যেই থাকে। বলাবাহুল্য বাণিজ্যিক দিক বিবেচনায় চার-ছক্কার ফরম্যাটের জন্য একদম আদর্শ। পিওর ব্যাটিং উইকেট।
২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আফগানিস্তানের ২১৫ রানের ইনিংসটা দখল করে আছে সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড। অবশ্য ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস তুলেছিল ২২৮ রান।
রান বেশি হওয়ার একটা বড় কারণ শারজাহ’র বাউন্ডারি। মাঠটা বেশ ছোট। লং অনে ৬২, মিড উইকেটে ৬৫ আর স্ট্রেইটে মাত্র ৫৮ মিটার। তাই বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জটা আরও বড়।
এই ভেন্যুতে সাকিব-মুশফিকদের পূর্বসূরিরা খেলেছেন মোটে ৫ ম্যাচ। ১৯৯০-৯৫’এ খেলা সব কয়েকটা ম্যাচেই মিলেছে হারের তিক্ততা। তবে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে এখনও শারজাহ’র ২২ গজে নামা হয়নি টাইগারদের। প্রথম রাউন্ডে ২টি আর সুপার টুয়েলভের ৯টি মিলিয়ে আসন্ন বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই ভেন্যুতে। ওমান পর্ব উতরে গেলে এই ভেন্যুতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশও।
Discussion about this post