খেলাধূলা ডেস্ক
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই হাতছানি দিচ্ছিল রেকর্ডটি, প্রয়োজন ছিল ১০টি উইকেট পাওয়ার। প্রথম পর্বের তিন ম্যাচেই সেটি প্রায় করে ফেলেছেন সাকিব আল হাসান। তবু বাকি রইলো একটি উইকেট। প্রথম তিন ম্যাচে নয় উইকেট নিয়ে এখন শহিদ আফ্রিদির সামনে বসেছেন সাকিব আল হাসান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগের ছয় আসরে সাকিবের উইকেটসংখ্যা ৩০। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় তিনি ছিলেন ছয় নম্বরে। সেখান থেকে শীর্ষে উঠতে মাত্র তিনটি ম্যাচ নিলেন সাকিব। এই তিন ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে তিনিই এখন বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
সমান ৩৯টি উইকেট রয়েছে পাকিস্তানের সাবেক তারকা অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদিরও। তিনি ৩৪ ইনিংস বোলিং করে নিয়েছেন ৩৯ উইকেট। সেখানে সাকিবের ৩৯ উইকেট নিতে লেগেছে মাত্র ২৭ ইনিংস। এছাড়া ইকোনমি এবং গড়েও আফ্রিদির চেয়ে এগিয়ে সাকিব।
নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একে একে চার্লস আমিনি, সাইমন আতাই, সেসে বাউ ও হিরি হিরির বিদায় ঘণ্টা বাজিয়েছেন সাকিব। মনে হচ্ছিল, প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইফার নিয়ে নেবেন সাকিব। কিন্তু তা হয়নি। নিজের ৪ ওভারে মাত্র ৯ রানে নিয়েছেন ৪টি উইকেট।
এই তিন ম্যাচের ৯ উইকেটেই সাকিব উঠে গেছেন শীর্ষে। এখন প্রথম পর্বের তিন ম্যাচ শেষে সুপার টুয়েলভে আরও পাঁচটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। সেই পাঁচ ম্যাচ থেকে আর মাত্র একটি উইকেট পেলেই এককভাবে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হবেন সাকিব।
Discussion about this post