অনলাইন ডেস্ক
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের আঞ্চলিক জোট অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশনসের (আসিয়ান) সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ। রাজনৈতিক, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জোটভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ বহুমাত্রিক পদক্ষেপ নিয়েছে। জোটের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে এরই মধ্যে দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছে ঢাকা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চায় বাংলাদেশ। মূলত, আসিয়ান জোটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করতে চায় ঢাকা। বিশেষ করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বহুমাত্রিকতা যোগ করে এসব দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ বাড়ানোর পাশাপাশি দেশে অধিক পরিমাণ বিনিয়োগ আনতে চায়। একই সঙ্গে আসিয়ানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সুফল পেতে চায় বাংলাদেশ।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চায় বাংলাদেশ। মূলত, আসিয়ান জোটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করতে চায় ঢাকা। বিশেষ করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বহুমাত্রিকতা যোগ করে এসব দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ বাড়ানোর পাশাপাশি দেশে অধিক পরিমাণ বিনিয়োগ আনতে চায়। একই সঙ্গে আসিয়ানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সুফল পেতে চায় বাংলাদেশ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস বলেন, ‘আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে আমরা সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চাচ্ছি। আরও শক্তিশালী সম্পর্ক চাই। কারণ, আসিয়ান একটি বড় ব্লক। আমরা এ জোটের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে চাই। ওদের সঙ্গে অনেকভাবে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো যায়; রাজনৈতিক, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ও আঞ্চলিক পাওয়ার ব্লকে এনগেজমেন্ট বাড়ানো যায়।
তিনি বলেন, ‘সর্বোপরি এনগেজমেন্ট বাড়াতে আমরা বাণিজ্য বাড়ানোর চেষ্টা করছি, অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ বাড়ানোর চেষ্টা করছি। জোটের দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের আমদানি সম্পর্ক আছে; কিন্তু রফতানি বেশি নেই, সেটি বাড়াতে চাই। রফতানি বাড়াতে সেসব দেশের সঙ্গে আমরা পিটিআই, এফটিআই করতে চাচ্ছি। রোহিঙ্গা সংকট তো থাকছেই। জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়েও আরও সহযোগিতা বাড়ানো যায়। শিক্ষাক্ষেত্রে যেমন- থিঙ্ক ট্যাংক ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে চাই। মূল কথা এনগেজমেন্ট বাড়াতে চাই।’
প্রতিরক্ষা সম্পর্কের ব্যাখ্যায় সচিব মাশফি বলেন, ‘প্রতিরক্ষা মানে এই নয় যে তাদের কাছ থেকে অস্ত্র কিনব। এ সহযোগিতা হতে পারে দুই দেশের সেনাপ্রধানদের সফর। নৌ-জাহাজের বিনিময়, ট্রেনিং অফিসারদের বিনিময় এবং ডিফেন্স ডায়ালগও হতে পারে। অনেকভাবে ডিফেন্স এনগেজমেন্ট বাড়ানো যেতে পারে।’
কৌশলগত ও অর্থনৈতিকভাবে আসিয়ানকে ‘ডায়নামিক জোট’ আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বহু আগেই এ ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তবে আসিয়ানে ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে ঢাকার কূটনৈতিক পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানান। বিশ্লেষকরা বলছেন, কূটনৈতিকভাবে আসিয়ানের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারলে এ জোট থেকে অন্যান্য ফোরামের সমর্থন পাবে বাংলাদেশ। এছাড়া বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সুবিধা পাওয়া যাবে।
আসিয়ানের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আসিয়ান একটি শক্তিশালী গ্রুপ। ১০টি দেশের কয়েকটির সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক আছে। কিন্তু গোষ্ঠীগতভাবে যেন কিছু হয়, সেজন্য আমরা আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে আমরা আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের (এআরএফ) সদস্য হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে একটা ব্রিজ (সেতু) তৈরি করতে। বাংলাদেশ আসিয়ান দেশগুলোর জন্য প্রতিযোগিতামূলক আমদানির উৎস হতে পারে। থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে আমাদের আকাশ যোগাযোগ আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এ জোটই আমাদের ভরসা। তাদের সহযোগিতা আমাদের চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আসিয়ান কৌশলগত ও অর্থনৈতিকভাবে ডাইনামিক (গতিশীল) জোট। গত ২০ বছরে আসিয়ানের বিবর্তন দেখেছি। এটি অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, নিরাপত্তাসহ সবদিক থেকে একটি শক্তিশালী জোট। বলা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাইরে বহুমাত্রিক দিক থেকে এটি একমাত্র সফল জোট।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের টার্গেট ছিল আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার। তারা তা করেছে। বাংলাদেশের এ উদ্যোগ আরও আগেই নেওয়া দরকার ছিল। এখন নেওয়া হচ্ছে, ভালো। জোটের সমর্থন খুব জরুরি। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করা সম্ভব, যদি আমরা আসিয়ানের সঙ্গে বহুপাক্ষিক সম্পর্ক করতে পারি। তাদের অনেক দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আছে। সম্পর্ক যদি গ্রুপ বেজড হয়, আমাদের জন্য ভালো হবে।’
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এ অধ্যাপক বলেন, ‘ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে আসিয়ানে অবস্থান যেকোনো রাষ্ট্রের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক সুযোগ। কূটনৈতিকভাবে আসিয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা অন্যান্য ফোরামের জন্য পজিটিভ ভূমিকা রাখে। এ জোটের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানো গেলে এর আশপাশের দেশগুলো থেকেও আরও সুবিধা পাবে বাংলাদেশ; বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভরসা আসিয়ান
মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ব্রুনাই, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া ও লাওস— এ দশটি রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত আসিয়ান। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ ভূমি রাখাইনে প্রত্যাবর্তনে চীন বা ভারতের পর নিয়ামকের ভূমিকা পালন করতে পারে এ জোট। কেননা, এ জোটেরই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার মিয়ানমার, যে দেশের অত্যাচার থেকে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গারা।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে শুরু থেকে আসিয়ানের সহযোগিতা চেয়ে আসছে ঢাকা। তবে এখন পর্যন্ত কোনো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে দেখা যায়নি এ জোট সদস্যদের। এর মধ্যে আশার সংবাদ হলো, জোটের মুসলিম সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পাশাপাশি দু-একটি দেশ মিয়ানমার ব্লক থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কিছুটা সরে এসেছে।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে শুরু থেকে আসিয়ানের সহযোগিতা চেয়ে আসছে ঢাকা। তবে এখন পর্যন্ত কোনো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে দেখা যায়নি এ জোট সদস্যদের। এর মধ্যে আশার সংবাদ হলো, জোটের মুসলিম সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পাশাপাশি দু-একটি দেশ মিয়ানমার ব্লক থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কিছুটা সরে এসেছে
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আসিয়ানকে সংশ্লিষ্ট করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে ঢাকা। চলতি বছরের আগস্টে আসিয়ান সদস্য ব্রুনাইয়ের পররাষ্ট্রবিষয়ক দ্বিতীয় মন্ত্রী এরিওয়ান ইউসুফকে মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত নিযুক্ত করার পর তার সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিশেষ দূতকে চিঠিও দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। এ জোটের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানো গেলে প্রত্যাবাসনে ফল মিলবে বলে আশাবাদী কর্মকর্তারা।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘প্রত্যাবাসনে আসিয়ানে ভরসা রাখছি। আমরা জোটের কাছে রোহিঙ্গাদের কথা তুলে ধরেছি। আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ভার্চুয়াল বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরেছি, আসিয়ান ডে-র বৈঠকে তুলে ধরেছি। জোটের যেসব সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে আলাপ হচ্ছে, তাদের বলছি। তারা একজন স্পেশাল দূত নিয়োগ করেছে। মিয়ানমার নিয়ে আমরা তার কাছে প্রস্তাব দিয়েছি। তাকেও বলেছি, রোহিঙ্গাদের ফিরে যাবার ব্যবস্থা করতে।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জোটের মূল সদস্য রাষ্ট্রগুলো কথা বলে না— এমন আক্ষেপ প্রকাশ করে ড. মোমেন বলেন, ‘আসিয়ানদের অনেকে কথা বলে না। তারা একটি গ্রুপে আছে। এজন্য কথা বলতে চায় না। রোহিঙ্গারা ফেরত যাক— আসিয়ানের অনেক দেশ এতে রাজি। কিন্তু তারা চাইলেও এটি নির্ভর করবে তাদের সদস্য রাষ্ট্র মিয়ানমারের ওপর। তারা তাদের কোনো সদস্যকে এসব বিষয়ে চাপ দেয় না। তবে আমরা আশাবাদী।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আসিয়ানে নিযুক্ত বাংলাদেশি এক দূত ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আসিয়ান হলো একটি অ্যাসোসিয়েশন, কোনো সংস্থা নয়। সদস্য দেশগুলো আসিয়ানের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু করতে পারে না। মিয়ানমার হচ্ছে ওদের পূর্ণ সদস্য। ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনাই ও মালয়েশিয়া চেষ্টা করলেও খুব বেশিকিছু (পসিবল) হচ্ছে না। কারণ, অন্য দেশগুলোকেও একইভাবে চিন্তা করতে হয়। সিঙ্গাপুরও রোহিঙ্গা ইস্যুতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। মিয়ানমারে তাদের অনেক ইনভেস্টমেন্ট আছে। আসলে এদের সহযোগিতার দরকার, কিন্তু প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকেই উদ্যোগ নিতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘চীন, ভারত বা রাশিয়ার পরে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে একমাত্র ভূমিকা রাখতে পারে আসিয়ান। আসিয়ানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক যত ঘনিষ্ঠ হবে মিয়ানমার তত চাপে পড়বে। আসিয়ানের দেশগুলো চাইলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। জোটের অন্য দেশগুলোকে বাংলাদেশের কাজে লাগাতে হবে।’
আসিয়ানের ঘনিষ্ঠ হতে দূতদের পাশে চায় ঢাকা
বাংলাদেশ ও আসিয়ান জোটের মধ্যে সবধরনের সম্পর্ক তৈরিতে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ব্রুনাই, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের চালকের ভূমিকায় দেখতে চায় ঢাকা। সে লক্ষ্যে এরই মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে দূতদের নিয়ে দুবার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব দূতদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন, সবাইকে কাজ করতে হবে। এছাড়া, বাংলাদেশে নিযুক্ত আসিয়ানভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর মিশনপ্রধানদের সঙ্গেও বৈঠক করে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার বিষয়ে সরকারের বার্তা পৌঁছে দিয়েছে মন্ত্রণালয়। তারা এ ব্যাপারে সরকারকে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, গত ৭ জুন সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় আটটি দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশি দূতদের আসিয়ান অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে কাজ করতে বলেন সচিব। দূতদের চলমান বৈশ্বিক মহামারি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত রাখতে উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার মাধ্যমে কার্যক্রম গ্রহণ করতে বলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস বলেন, ‘দূতদের বলা হয়েছে, আসিয়ানের সঙ্গে আমরা অনেকভাবে সম্পর্ক বাড়াতে চাই। এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতা লাগবে। তাদের নিয়ে আমরা দুবার বসেছি।’
Discussion about this post