খেলাধূলা ডেস্ক
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে নেমে দুই ক্যাচ মিস করে রীতিমত খলনায়ক হলেন লিটন দাস। ব্যাড প্যাচে থাকা লিটনের এই মিস কতটা প্রভাব ফেলেছে ম্যাচে, তা বুঝতে বিশ্লেষক না হলেও চলে।
ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস, ক্রিকেটের চিরাচরিত কথার একটি। মাঠে এমন উদাহরণ আছে অজস্র। একটা ক্যাচেই শেষ হয়েছে গোটা ম্যাচ। কখনও শেষ হয়েছে গোটা টুর্নামেন্ট। টানা দুই জয়ে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে উঠেছে বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার সাথে জিতে উড়ন্ত সূচনার বিকল্প ছিল না সেমির স্বপ্ন জোরদার করার জন্য। এক প্লেয়ারের দায় নেই ম্যাচ হারাতে, তবে লিটন কতটা এড়াতে পারেন এই ম্যাচ ফসকানোতে? শেষ ৮ ওভারে জেতার জন্য দ্য লায়ন্সের প্রয়োজন ছিল ৮২ রান। আস্কিং রান রেট ১০ দশমিক দুই পাঁচ। আফিফের আউটসাইড অফের লেন্থ বল। স্লগ সুইপে বল গেল স্কয়ার লেগে। ক্যাচ মিস লিটনের। ১৪ রানে জীবন পাওয়া রাজাপাকসে রান বাড়িয়েছেন আরো ৩৯।
শেষ ৬ ওভারে ৫১ রানের সমীকরণ। মোস্তাফিজের আউটসাইড অফে লেন্থ বল। পজিশন বদলে গেলেও বদলায়নি লিটনের ক্যাচ মিসের ভাগ্য। সুইপার কাভারে আঙুল গলে আবারও ক্যাচ পড়েছে লিটনের। আসালাঙ্কা এরপরে আরও যোগ করেন ১৭ রান।
ম্যাচ কার্যত তখনি শেষ বাংলাদেশের। মিডিওকার দলের তকমা একেবারে ফেলে দিতে চায় বাংলাদেশ। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে মোটে এক ম্যাচ জেতা বাংলাদেশের জন্য তা বেশ কঠিনই। ১৪ বছর বিশ্বকাপের মূল পর্বে না জেতা বাংলাদেশের অন্তত ফিল্ডিংটা করতে হবে সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে। রিয়াদের দলের তা ভালোই জানা, শুধু মাঠেও তা দেখানোর পালা।
Discussion about this post