শিক্ষার আলো ডেস্ক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ‘বি’ ইউনিটের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন শিক্ষার্থীর শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকায় তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশেষ ব্যবস্থায় ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
রোববার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ভর্তি ইচ্ছুক চারজন শিক্ষার্থী বিশেষ ব্যাবস্থায় পরীক্ষা দেওয়ার আবেদন করেন। এর মধ্যে অংশ নেন তিনজন শিক্ষার্থী।
বিশেষভাবে ব্যাবস্থায় পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ইসরাত জাহান অনীমা বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে তারা আমাকে মেডিক্যাল সেন্টারে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মো. সেলিম ভূইয়া বলেন, শ্রুতি লেখকের সহায়তা চাইলে জবি কর্তৃপক্ষ তা ব্যবস্থা করে দেন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা থাকলেও আমি শ্রুতি লেখকের সহায়তায় পরীক্ষা ভালো দিয়েছি। এভাবে সহায়তা পেলে আমরাও ভবিষ্যতে ভালো করতে পারবো।
আরেক গর্ভবতী শিক্ষার্থী তাবাচ্ছুম তাবিয়া বলেন, আমার প্রেগন্যান্সির একদম শেষ সময়ে পরীক্ষার সময়সূচি পড়েছে এমতাবস্থায় আমাকে মেডিক্যাল সাপোর্টের মাধ্যমে পরীক্ষা দিতে হয়। পরীক্ষার সময় আমি অনেক অসুস্থতা বোধ করেছি। ভয়ে আমি কাউকে কিছু বলতে পারিনি তবে মাঝেমধ্যে কয়েকজন আমার খোঁজখবর নিয়েছে।
এ বিষয় নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো ইমদাদুল হক বলেন, প্রতিবন্ধকতায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের আমরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত করি। এ সকল শিক্ষার্থীদের মতো অন্যরাও যাতে অনুপ্রাণিত হয় সেজন্য আমরা বিশেষ ব্যবস্থাপনায় তাদের পরীক্ষা নিয়েছি। ভবিষ্যতে বিশেষ শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা আরও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিব।
উল্লেখ্য, ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় সারাদেশে ২২টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৬৭ হাজার ১১৭ জন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে সাত হাজার ৭৯৩ জন শিক্ষার্থীর আসন বিন্যাস করা হয়। এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৭ হাজার ২০৪ জন এবং অনুপস্থিত ছিলেন ৫৮৯ জন শিক্ষার্থী। উপস্থিতির হার ৯৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
Discussion about this post