অনলাইন ডেস্ক
দীর্ঘ ১৯ বছরেও দেশে বন্ধ হয়নি নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার আর উৎপাদন। এই পলিথিনের প্রভাবে দূষণের শিকার হচ্ছে নদ-নদী, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রকৃতি।
বুড়িগঙ্গার অস্তিত্বই বিলীন হয়ে গেছে প্লাস্টিকের ভয়াবহতায়। শুধু তাই নয়, নদীর দুই পাড় এখন অবৈধ প্লাস্টিকের কারখানার দখলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগেই অবৈধ এই পলিথিন ব্যবসা।
৪০০ বছর আগে বুড়িগঙ্গার তীরে গড়ে ওঠা ঢাকা। সেই বুড়িগঙ্গা আজ প্রাণহীন প্লাস্টিক আর পলিথিনের বর্জ্যে।
নদীর দুই প্রান্তে গড়ে উঠেছে শত শত প্লাস্টিকের কারখানা। সারাদেশ থেকে সংগ্রহ করা পলিথিন আর প্লাস্টিক ধোয়ার কাজে ব্যবহার হয় এই বুড়িগঙ্গা। সবাই জানে কারা ধ্বংস করছে এই পরিবেশ কিন্তু কেউ নাম বলতে চায় না।
স্থানীয়রা বলছেন, এখানে বহু কারখানা রয়েছে। নদীতে যা ধোয়া হচ্ছে, তাতে পানি দূষিত হচ্ছে। এটাকে এখন নদী না বলে ডাস্টবিন বলা যায়। যে কোনোভাবেই এটা বন্ধ করা উচিত।
শুধুই নদীর দুই পাড় নয়, সড়ক থেকে গৃহস্থালির ময়লা সব খানেই রাজত্ব নিষিদ্ধ পলিথিনের।
নদী বাঁচাও আন্দোলন কর্মীরা বলছেন, দেশে প্রতিদিন গড়ে এক কোটি ৪০ লাখ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে যার বেশির ভাগ ফেলা হয় নদীতে। এর প্রভাবে দূষণের শিকার দেশের নদ-নদী থেকে আবাদি জমিও।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, ৭-১০ ফুট পলিথিনের লেয়ার থাকাতে ঢাকার পানি যে নিচে যাওয়ার কথা, সেটা নদীর ক্ষেতে সেভাবে হয় না। নিষিদ্ধ একটা জিনিস উৎপাদনের জন্য হাজারো কারখানা আছে। তার মানে, আমাদের আইন আছে কিন্তু বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্লাস্টিকের এই ভয়াবহতা রুখতে দায়িত্ব নিতে হবে পরিবেশ অধিদপ্তরকেই।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্ব হচ্ছে মনিটরিং, বল প্রয়োগের যে দল আছে, তার মাধ্যমে গিয়ে গিয়ে পলিথিনের ব্যবহার রোধ করা, বিক্রি রোধ করা, উৎপাদন রোধ করা এবং রপ্তানি রোধ করা।
Discussion about this post