প্রযুক্তি ডেস্ক
দ্য ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্সের (উইটসা) উদ্যোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি যৌথভাবে এ সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ আয়োজনের পার্টনার হিসেবে আছে বেসিস, বাক্কো, ই-ক্যাব এবং আইএসপিএবি।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সাল আমাদের জন্যে গর্বের। এ বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী। ২১ সালেই সুযোগ হয়েছে প্রথমবারের মতো আমরা তথ্য প্রযুক্তি খাতের এতো বড় আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের আয়োজক হতে। এটি আমাদের জন্যে গর্বের। আইসিটি খাতে বাংলাদেশকে ব্রান্ড হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। এত তথ্য প্রযুক্তি খাতের বিশ্বের শীর্ষ ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। এই সম্মেলনের সফল আয়োননের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এ খাতে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’
আয়োজকরা জানান, ‘আইসিটি দা গ্রেট ইকুলাইজার’ স্লোগানে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক হিসেবে খ্যাত এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে অনলাইনে সম্মেলনে যুক্ত হওয়া যাবে। ডব্লিউসিআইটি ২০২১ সম্মেলনের সমান্তরালে একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের আন্তর্জাতিক সম্মেলন অ্যাসোসিও ডিজিটাল সামিট ২০২১।
৪ দিনব্যাপী এ সম্মেলনে থাকছে ৩০টি সেমিনার, মিনিস্টারিয়াল কনফারেন্স, বিটুনি সেশন। অনলাইনে নিবন্ধিত হয়ে এই সেমিনারগুলোতে অংশ নেওয়া যাবে।
১১ নভেম্বর মিনিস্টারিয়াল কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন। প্রতিদিন সেমিনারের পাশাপাশি থাকছে বিশেষ আয়োজন। এ বিশেষ আয়োজনে প্রথম দিন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ নাইট’। নাইটে বাংলাদেশের বিগত ১২ বছরের তথ্য-প্রযুক্তিতে অগ্রগতির সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করা হবে।
১৩ নভেম্বর, সন্ধ্যায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অগ্রগতি অর্জন গৌরবের বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। এ দিন ‘উইটজা আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড নাইট’ অনুষ্ঠানে সারা বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আধুনিক ইন্টারনেটের অন্যতম জনক ভিন্টনগ্লেসার্ফ ও রবার্ট কান সেমিনারে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন। এই প্রথমবারের মত একই প্ল্যাটফর্মে তাদের সঙ্গে যুক্ত হবেন আধুনিক ইন্টারনেটের অন্যতম জননী ড. রাদিয়া পারম্যান ও ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের উদ্ভাবক স্যার টিমোথি বারনার্স লি। ইন্টেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান ওমর এস ইশরাক ও নাসার সদর দফতরের এজেন্সি ও পারফর্মেন্সের ডেপুটি সিএফও ডাউগ কমস্টক সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। বিশেষ সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসের কমিশনার ভিক্টর ক্যালিস ভবিষ্যত স্মার্ট সিটি বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন।
ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) চিফ স্টাডি গ্রুপস ডিপার্টমেন্টের বিলেল জামৌসি বক্তৃতা করবেন। আইএমডি স্মার্ট সিটি অবজারভেটরির সভাপতি ড. ব্রুনোপ্যানভিন একটি সেমিনারে অংশ নেবেন।
এক্সপো উপভোগ করার জন্য অ্যাপ উন্মুক্ত করা হয়েছে। গুগল প্লে স্টোর ও আইফোনের অ্যাপ স্টোর থেকে wcit2021 নামের অ্যাপটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ইন্সটল করা যাবে। তবে ব্যবহারের পূর্বে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। এছাড়াও www.wcit2021.com.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করে ভার্চুয়ালি সম্মেলন ও প্রদর্শনী ঘুরে আসা যাবে।
ফিজিক্যাল এবং অনলাইন রেজিস্ট্রেশনসহ ডব্লিউসিআইটি সম্মেলনের যাবতীয় www.wcit2021.org.bd ওয়েবসাইটটিতে পাওয়া যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান, পিএএ ও বিসিএসের সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর। উইটসার সেক্রেটারি জেনারেল জেমস এইচ পয়সান্ট অনলাইনে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
Discussion about this post