খেলাধূলা ডেস্ক
সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশের বিপক্ষে সহজ জয় তুলে নিল ইংল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি ফরমেটে নিজেদের প্রথম দেখায় বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে ইংলিশরা। বাংলাদেশের দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্য ৩৫ বল হাতে রেখেই উতরে যায় তারা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে ইংলিশরা। পাওয়ার প্লেতে দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকে দুই ওপেনার জস বাটলার এবং জেসন রয়। দু’জন মিলে গড়েন ৩৯ রানের জুটি। তবে এই জুটি ভাঙেন টাইগার স্পিনার নাসুম আহমেদ। তার বলে নাঈম শেখের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যাওয়ার আগে বাটলার করেন ১৮ রান।
এরপর ক্রিজে আসেন দাওয়িদ মালান। জেসন রয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে টাইগার বোলারদের হতাশ করে দ্রুত রান তুলতে থাকেন তারা। ফিফটি তুলে নেন জেসন রয়। ৩৮ বলে ৬১ রান করে শরিফুলের বলে আউট হয়ে ফিরে যান তিনি। এছাড়া মালানের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে ইংলিশ বোলারদের দাপটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ইংলিশ বোলারদের বিপক্ষে এদিন জ্বলে উঠতে পারেননি কেউই। ধুঁকে ধুঁকে ব্যাট করেন লিটন-সাকিব-রিয়াদরা।
৯, ৫, ৪, ২৯, ১৯, ৫-এই সংখ্যাগুলোই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগার ব্যাটসম্যানদের রান সংখ্যা! অবাক করা হলেও ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি ম্যাচে স্কোরবোর্ডের চিত্র ছিল এমনই। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা আশানুরূপ হয়নি। দলীয় ১৪ রানেই ফিরে যান দুই ওপেনার লিটন দাস আর নাঈম শেখ। ব্যক্তিগত ৯ রান করে বিদায় নেন লিটন দাস। মঈন আলীর বলে লিভিংস্টোনকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর নাঈম শেখও একই পথে হাঁটেন। তিনি ফিরে যান ৫ রান করে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর অবশ্য খানিকটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তারা দু’জন। জুটি গড়েন ৩৭ রানের। তবে বেশিদূর যেতে পারেননি মুশফিক। রিভার্স প্যাডল সুইপ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন মুশফিক। আম্পায়ার আবেদনে সাড়া না দিলেও রিভিউ নিয়ে সফল হয়েছে ইংল্যান্ড। ফলাফল যা হওয়ার তাই। প্যাভিলিয়নের পথে মুশফিক। তার ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান।
এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও যেতে পারেননি বেশিদূর। ২৪ বলে ১৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন টাইগার কাপ্তান। ৭৩ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে আরও বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। তবে নুরুল হাসান ও মেহেদি হাসান মিলে টাইগারদের রান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। মেহেদি ১১ রান করে ফিরে গেলে নাসুম নেমে রানের চাকা সচল রাখেন। তিনি অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ১৯ রান। এছাড়া নুরুল হাসান সোহান করেন ১৬ রান।
ইংলিশ বোলারদের হয়ে মঈন আলী নেন ২টি উইকেট। টাইমাল মিলস ৩টি এবং লিভিংস্টোন নেন ২টি উইকেট।
Discussion about this post