মাহফুজ মিশু
পারমাণবিক কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুতের দাম পড়তে পারে ইউনিট প্রতি ৪ থেকে ৭ টাকা। এমন ধারণা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের। তবে প্রকল্পের মেয়াদ, সুদের হার ও জ্বালানি মূল্যের মতো কিছু ইস্যু দামের তারতম্য ঘটাতে পারে বলে মনে করেন এনার্জি রেগুলেটর কমিশনের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান।
এখনি উৎপাদন খরচ জানাতে না চাইলেও প্রকল্প পরিচালক বলছেন, অন্যান্য অনেক কেন্দ্রের চেয়ে কম খরচে বিদ্যুৎ মিলবে রূপপুর থেকে। রূপপুরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে বসেছে এর হৃদপিণ্ড, পারমাণবিক চুল্লি। ভিভিইআর ১২০০ মডেলের রিঅ্যাক্টরটি কাজ করবে অন্তত ৬০ বছর।
এ প্রযুক্তিতে বছরে ৩০০ দিন ক্ষমতার ৯০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা। সর্বোচ্চ খারাপ হলে তা দাঁড়াবে ৫০ ভাগে। সাড়ে বারো বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পের ৯০ শতাংশই রাশিয়ার ঋণ। সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ হারে ২৮ বছরে তা শোধ করতে হবে বাংলাদেশকে। এসবের পাশাপাশি বেলারুশ ও হাঙ্গেরির তথ্য বিশ্লেষণ করে অধ্যাপক শফিকুল বলছেন, প্রতি ইউনিটের খরচ হবে সর্বোচ্চ ৭ টাকা।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের অভিজ্ঞতা থেকে প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, এই বিদ্যুতের দাম নির্ধারণে নির্ভর করছে অনেকগুলো ফ্যাক্টর, যার ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই বাংলাদেশের। পাশাপাশি প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ও তার সঠিক ব্যবস্থাপনাও দাম নির্ধারণে প্রভাবক হবে।
দেশে গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ সবচেয়ে কম, তিন টাকার মতো। এরপর ভারত থেকে আনা বিদ্যুতের খরচ ৬ টাকার কাছাকাছি। তেলের খরচ বেশি, ১৮ থেকে ২৪ টাকা। গবেষণা বলছে, পরমাণু থেকে উৎপাদনে খরচ পড়বে ৩ টাকা ৭২ পয়সা থেকে ৭ টাকার মধ্যে। যদিও দাম নিয়ে এখনি কথা বলতে নারাজ প্রকল্প পরিচালক।
এদিকে, রূপপুরে দুটি ইউনিট থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দু’হাজার চারশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে আসার কথা।
Discussion about this post