খেলাধূলা ডেস্ক
দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের শেষ ২ ওভারের সমীকরণটা ছিল গতকালের বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের মতো। বরং দক্ষিণ আফ্রিকার হিসাবটা কঠিন ছিল। শেষ ২ ওভারে বাংলাদেশের লাগতো ২২ রান, সেখানে প্রোটিয়াদের প্রয়োজন পড়ে ২৫ রান। শেষ ওভারে বাংলাদেশের ১৩ রানের জায়গায় তাদের দরকার ছিল ১৫ রান। মাহমুদউল্লাহ পারেননি, তবে ডেভিড মিলার ঝড়ে এই সমীকরণ মিলিয়ে দিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ৪ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে প্রোটিয়ারা।
আজ (শনিবার) সেই শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪২ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা। শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে মিলার ঝড়ে ১ বল আগে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে প্রোটিয়ারা।
সব উত্তেজনা জমে ছিল যেন শেষ ৩ ওভারে। জয়ের পাল্লা ভারি থাকা প্রোটিয়াদের স্বপ্নে বড় ধাক্কা খায় ভানিন্দু হাসারাঙ্গা পরপর ২ বলে তেম্বা বাভুমা ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে আউট করলে। দারুণভাবে খেলায় ফেরা শ্রীলঙ্কা চেপে ধরে প্রোটিয়াদের। হাসারাঙ্গার ওই ওভারে আসে ৬ রান। পরের ওভার করতে আসা দুষ্মন্থ চামিরাও চেপে ধরেছিলেন। তবে চতুর্থ বলে কাগিসো রাবাদা ছক্কা মারলে আশা জেগে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকার।
ফলে শেষ ওভারে জিততে প্রয়োজন পড়ে ১৫ রান। লাহিরু কুমারার প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে রাবাদা স্ট্রাইক দেন মিলারকে। হিসাবটা তখন এমন- ৫ বলে ১৪। স্ট্রাইকে গিয়েই ঝড় তুললেন মিলার। পরপর ২ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেন দলকে। আর রবাদার বাউন্ডারিতে ১ বল আগেই নাটকীয় জয় লেখা হয়ে যায় প্রোটিয়াদের।
মিলার ১৩ বলে ২ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ২৩ রানে। রাবাদা ৭ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ১৩ রানে। তবে ম্যাচটি টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন আসলে অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। ৪৬ বলে ১ চার ও সমান ছক্কায় তিনি করেন ৪৬ রান। ১৯ রান আসে এইডেন মারক্রামের ব্যাট থেকে। কুইন্টন ডি কক করেন ১২ রান।
শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে সফল বোলার হাসারাঙ্গা। এই স্পিনার ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট পেয়েছেন চামিরা।
এর আগে পাথুম নিশানকার চমৎকার ইনিংসে ১৪২ রান করে শ্রীলঙ্কা। এই ওপেনার ৫৮ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৭২ রানের ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান চারিথ আসালঙ্কার। এই দুজন ছাড়া কেবল দাসুন শানাকা (১১) যেতে পেরেছেন দুই অঙ্কের ঘরে। ব্যর্থতার মিছিলে যোগ দিয়েছেন কুশল পেরেরা (৭), ভানুকা রাজাপাকসে (০), অভিষ্কা ফার্নান্ডো (৩) ও হাসারাঙ্গা (৪)।
দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে সফল বোলার তাবরেজ শামসি। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা এই স্পিনার ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। প্রিটোরিয়াস ৩ ওভারে ১৭ রান খরচায় পান ৩ উইকেট। আর আনরিখ নর্কিয়া ২৭ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট।
Discussion about this post