খেলাধূলা ডেস্ক
পাকিস্তানের কাছে হেরে কোণঠাসা ভারতের কাছে এ ম্যাচটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ !কিন্তু ভারতের বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপকে গুড়িয়ে দিয়ে ৩৩ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বিশাল জয় পায় নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারলেও এই জয়ে সেমিফাইনালের স্বপ্নটা দেখতেই পারে নিউজিল্যান্ড। তবে এই হারে ভারতের সেমিফাইনাল যাত্রা অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর ৬ দিন বিশ্রাম পেয়েছিল ভারত। তাতেও রবিবার (৩১ অক্টোবর) নিউজিল্যান্ডের বোলিংয়ের সামনে সুবিধা করতে পারেনি তারা। টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় স্কোরবোর্ডে মাত্র ১১০ রানের বেশি তুলতে পারেনি টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট দল। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ব্যাটাররা তেমন কোনও সুযোগই দেয়নি ভারতীয় বোলারদের।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১১১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাওয়ার প্লে-তে মার্টিন গাপটিল (২০) ফিরে গেলেও কিউই স্কোরবোর্ড সচলই ছিল। দ্বিতীয় উইকেটে কেন উইলিয়ামসনকে সঙ্গে নিয়ে ড্যারিল মিচেল ৭২ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন। এই জুটিতেই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ভারত। ড্যারিল মিচেল ১ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস করলেও উইলিয়ামসন ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন। অন্যপ্রান্তে ডেভন কনওয়ে ২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে কেউই সুবিধা করতে পারেননি। পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ একাই দুটি উইকেট নেন।
এর আগে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে টসে হাসিটা হাসেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। টস জিতে নিউজিল্যান্ড ভারতকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ব্যাটিংয়ের। অধিনায়কের সিদ্ধান্তটাকে ভুল প্রমাণ করতে দেননি কিউই বোলাররা। ঈশান কিষাণকে দিয়ে শুরু। বোল্টের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বিদায় নেন লোকেশ রাহুলও। টস হেরে ব্যাটিং করতে নামা ভারত পাওয়ার প্লে-তেই হারায় ইশান কিষান (৪) ও লোকেশ রাহুলের (১৮) উইকেট। রোহিত শর্মাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। অস্বস্তি নিয়ে ব্যাটিং করে শেষ পর্যন্ত ১৪ রানে আউট হয়েছেন। ভারতের ব্যাটিং লাইনআপে ভরসার প্রতীক অধিনায়ক বিরাট কোহলিও হাল ধরতে পারেননি। ৯ রানে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার।
এরপর রিষভ পান্ত ও হার্দিক পান্ডিয়া মিলে জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ১৯ বলে ১২ রান করে পান্ত আউট হলে ভাঙে ২৬ বলে ২২ রানের এই জুটি। এরপর হাল ধরেন হার্দিক ও রবীন্দ্র জাদেজা। হার্দিক ২৪ বলে ২৩ রান করে আউট হন। জাদেজা ১৯ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। এই দুইজনের চেষ্টায় ভারতের ইনিংস ১০০ পেরোয়। প্রথম ১১ ওভারে মাত্র ৫২ রান নেওয়া ভারত শেষ ৯ ওভারে নিয়েছে ৫৮ রান।
কিউই বোলারদের মধ্যে সবাই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। বিশেষ করে ট্রেন্ট বোল্ট মাত্র ৪ ওভার বোলিং করে ২০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া ইশ শোধি ১৭ রানে নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন টিম সাউদি ও অ্যাডাম মিলনে।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: ইশ সোধি
Discussion about this post