প্রযুক্তি ডেস্ক
অবশেষে গত মাসের শুরুর দিকে বাজারে এল মাইক্রোসফটের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১১। ইতোমধ্যে বেশকিছু কম্পিউটারে নতুন এই অপারেটিং সিস্টেম আপডেটের বার্তা জানিয়ে দিলেও এখনো সিংহভাগ কম্পিউটারে উইন্ডোজ ১১ আপডেটের প্রজ্ঞাপন এসে পৌঁছায়নি। তবে অনেক ইউজারই সংশয়ে আছে অপারেটিং সিস্টেমে উইন্ডোজ ১০ থেকে উইন্ডোজ ১১তে যাওয়া নিয়ে। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে, কি কি নতুন থাকছে উইন্ডোজ ১১তে।
যদিও উইন্ডোজ ১০ থেকে ১১তে যাওয়ার জন্য ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় পাবেন ইউজাররা, তবে নিজেকে আপডেটেড রাখতে চান টেক স্মার্টরা। যারা ইতোমধ্যে তাদের অপারেটিং সিস্টেমে উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করছে তারা বিনামূল্যেই উইন্ডোজ ১১ আপডেট করতে পারবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট। তবে উইন্ডোজ ১১ আপডেটের আগে জেনে নেওয়া যাক নতুন কোন কোন ফিচার থাকছে অপারেটিং সিস্টেমটিতে।
বাংলায় একটি প্রবাদ রয়েছে, ‘প্রথমে দর্শনধারী, তারপরে গুণবিচারী।’ এই প্রবাদেরই প্রতিফলন ঘটিয়েছে মাইক্রোসফট তাদের নতুন অপারেটিং সিস্টেমে। উইন্ডোজ ১১’র সবথেকে বড় চমক হচ্ছে এর ডিজাইনে। অনেকে এই ডিজাইনকে ম্যাকবুকের অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে তুলনা করছে। রাউন্ড কর্নার আর প্যাস্টেল শেডের এক চমৎকার সম্মেলনে গড়ে উঠেছে অপারেটিং সিস্টেমটির ফিচারটির। টাস্কবার দিয়ে স্টার্ট মেনুটিকে এবার এককোণ থেকে একেবারে মাঝখান পর্যন্ত টেনে নিয়ে আসা যাবে।
আমাজন অ্যাপস্টোরের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে মাইক্রোসফট অ্যাপস্টোর। তাদের সম্মিলিত প্রয়াসেই এবার উইন্ডোজ ১১তে ব্যবহার করা যাবে মোবাইল অ্যাপসমূহ। যদিও এখন পর্যন্ত ফিচারটি সংযুক্ত হয়নি তবে অচিরেই উইন্ডোজ ১১ ব্যবহারকারীরা সুবিধাটি ব্যবহার করতে পারবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, উইন্ডোজ ১০-এ কেবল মাত্র স্যামস্যাং গ্যালাক্সি ইউজাররা মোবাইল অ্যাপের সুবিধা পেলেও উইন্ডোজ ১১-এ সব ডিভাইস থেকেই সুবিধাটি পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।
উইন্ডোজ ১১ তাদের ভার্চুয়াল ডেস্কটপ সাপোর্টকে করেছে আরও সুবিধাসম্পন্ন। এতে করে অতি সহজেই একজন ব্যবহারকারী ডেস্কটপ থেকে কাঙ্ক্ষিত সুবিধাটি পাবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। মাল্টিপল টাস্কে উইন্ডোজ ১১ পূর্বের অপারেটিং সিস্টেম থেকে আরও কার্যকর বলে দাবি করছে মাইক্রোসফট। এ ছাড়া মাইক্রোসফটের নতুন ফিচার ‘স্নাপ গ্রুপ অ্যান্ড স্নাপ লেআউট’ সুবিধার মাধ্যমে একজন ইউজার স্মার্ট মিনিমাইজ সুবিধার মাধ্যমে আরও সহজে হয়ে উঠতে পারবে মাল্টিটাস্কার।
উইন্ডোজ ১১ দিচ্ছে স্মার্ট টাস্কবারের সুবিধা। অনেকেই এটিকে অ্যাপেল ম্যাকবুকের ফেসটাইমের সঙ্গে তুলনা করছে। ধারণা করা হচ্ছে মাইক্রোসফটের এই নতুন ফিচারটি বাজারে অ্যাপেলের সঙ্গে মাইক্রোসফটের প্রতিযোগিতা আরও বৃদ্ধি করবে। এ ছাড়া উইজেড এবং টাস্কস্ক্রিন সুবিধাকে আরও বেশি ইউজার বান্ধব করে গড়ে তুলছে মাইক্রোসফট তাদের অপারেটিং সিস্টেম ১১ তে।
অটো এইচডিআর এবং ডিরেক্ট স্টোরেজের মতো ফিচারগুলো ইতোমধ্যে গেমারদের নজর কেড়েছে।
Discussion about this post