শিক্ষার আলো ডেস্ক
বগুড়ার নন্দীগ্রামের রণবাঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগের প্রমাণ মেলায় সহকারী শিক্ষক মো. কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুন জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি তদন্ত করবেন। সেখানেও সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্প্রতি তাহমিনা খাতুন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১১ অক্টোবর প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে সহকারী শিক্ষকের অশালীন আচরণের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। এর প্রেক্ষিতে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হেমায়েত আলী তদন্ত করে ২১ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তদন্তে প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে বিদ্যালয় চলাকালে অশালীন আচরণের সত্যতা পাওয়া গেছে। এর প্রেক্ষিতে সহকারী শিক্ষক মো. কামরুজ্জামানকে সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর দশম অধ্যায়ের ৩৯(১) ধারা এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ১৫ বিধির (১) উপবিধি মোতাবেক চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এই সময়ে তিনি বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা পাবেন। এ ছাড়া কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। মামলায় তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ নিতে হবে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রণবাঘা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহিনা আক্তার গত ৯ অক্টোবর ছুটিতে ছিলেন। অনুপস্থিতির কারণে ওইদিন সকালে সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামানকে চতুর্থ শ্রেণির গণিত ক্লাস নিতে বলেন তিনি। তখন হালিমা খাতুনের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন কামরুজ্জামান।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বিকালে এ প্রসঙ্গে কামরুজ্জামান বলেন, তিনি সাময়িক বরখাস্তের ব্যাপারে কোনও আপিল করবেন না। এ নিয়ে কারও কাছে কোনও মন্তব্যও করবেন না বলে জানান।
Discussion about this post