বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
দীর্ঘ ১০ মাসের তীব্র প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন রাউন্ড অনুষ্ঠিত হওয়ার পর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সাথে অংশীদারিত্বে হুয়াওয়ে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ আইসিটি স্কিলস কম্পিটিশন ২০২১’ – এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বুধবার (২ নভেম্বর) অনলাইনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হুয়াওয়ে।
প্রতিযোগিতায় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০২ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেন, যার মধ্য থেকে বুয়েট, চুয়েট, কুয়েট, আইইউটি এবং এনএসইউ থেকে মাত্র ১৫ জন শিক্ষার্থী চুড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নেন। তাদের মধ্যে, দুইজন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতার প্রথম পর্বে ১০০০ এর মধ্যে ১০০০ স্কোর করেছেন এবং ১০ জন শিক্ষার্থী দ্বিতীয় পর্বে এইচসিআইএ (হুয়াওয়ে সার্টিফায়েড আইসিটি অ্যাসোসিয়েট) সার্টিফিকেশনে উত্তীর্ণ হন।
চুড়ান্ত পর্বের পর, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সদস্য বিশিষ্ট তিনটি দলকে এ বছরের আইসিটি স্কিলস কমপিটিশন’র বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ইউনেসকোর হেড অব অফিস ও ইউনেস্কো প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালদুন ও হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝ্যাং ঝেংজুন।
প্রতিযোগিতায় সোহান সালাহউদ্দিন মুগ্ধ, রাবীব ইবরাত ও মো. তাহমিদুর রাফিদের সমন্বয়ে গঠিত ‘বুয়েট দল’ বিজয়ী হয়েছে।
প্রথম রানার-আপ হয়েছে মো. কাফ শাহরিয়ার, হাসান মেসবাউল আলী তাহের ও সুহানা বিনতে রশিদের সমন্বয়ে গঠিত ‘চুয়েট দল’ এবং দ্বিতীয় রানার-আপ হয়েছে আরিফ আহমেদ নওফেল, মো. তকিউল হাসান সাকিব ও মো. সেলিম রেজা জিমের সমন্বয়ে গঠিত ‘এনএসইউ দল’।
পুরস্কার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দল জিতেছে হুয়াওয়ে ল্যাপটপ, প্রথম রানার আপ দল জিতেছে হুয়াওয়ে ওয়াচ এবং দ্বিতীয় রানার আপ টিম জিতেছে হুয়াওয়ে ট্যাব। সকল বিজয়ীরা ২০২২ সালের মে মাসে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া হুয়াওয়ে আইসিটি স্কিলস কম্পিটিশনের রিজিওনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়াও, ৫ জন শিক্ষার্থীকে হুয়াওয়ের সাথে কাজ করার সুযোগ প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত ‘বাংলাদেশ আইসিটি স্কিলস কম্পিটিশন’ মূলত দু’টি অংশ নিয়ে গঠিত – ‘ব্যবহারিক প্রতিযোগিতা’ এবং ‘তত্ত্বীয় প্রতিযোগিতা’। এই প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য হলো আইসিটি খাতের প্রতিভাবানদের খুঁজে বের করা এবং তাদেরকে অনুপ্রাণিত করা। প্রতিযোগীদের তিনটি রাউন্ডের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিলো।
উল্লেখ্য, ‘বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশন ২০২০’ হলো চারটি স্বতন্ত্র প্রোগ্রামের (‘বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশন ২০২০’, ‘আইসিটি জয়েন্ট ইনোভেশন সেন্টার’, ‘হুয়াওয়ে আইসিটি একাডেমি’, এবং ‘কিউরেটিং বাংলাদেশি স্টার্টআপ’) মধ্যে প্রথম আয়োজন। এই প্রতিযোগিতাকে দেশের আইসিটি খাতের মেধাবী ও উদ্ভাবনকে উৎসাহ দেয়ার মতো করে ডিজাইন করা হয়েছে।
Discussion about this post