খেলাধূলা ডেস্ক
বিশ্বকাপের ২য় পর্বে কোনো রকম জয়ের দেখাই পায়নি বাংলাদেশ। টাইগারদের অবশেষে দেশে ফিরতে হচ্ছে প্রথম রাউন্ডে ওমান এবং পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে দুই জয় নিয়েই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারটা আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিয়েছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের অবস্থানটা এইমুহুর্তে কোথায়! ব্যর্থ টাইগাররা, দায়টা একা কারোর ওপর দিতে চাননা অধিনায়ক। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ জানিয়েছেন,
“ব্যর্থতার দায়ভার সবাইকেই নিতে হবে। ব্যর্থতার দায় শুধু একজনের নয়। পুরো দলের উপরেই দায়ভার আসে। এবং, এটা এভাবেই দেখা উচিত”
প্রশ্ন উঠেছে রিয়াদের অবসর নিয়েও। টাইগার ক্যাপ্টেন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “আমার হাতে কিছু নেই। সিদ্ধান্তটা ক্রিকেট বোর্ডেরই থেকে আসবে।” সেইসাথে নিজের অধিনায়কত্ব নিয়েও কথা বলেছেন তিনি, “আমার তরফ থেকে আমি সবসময়ই চেষ্টা করেছি দলটাকে আগলে রাখার জন্য। ভালো পারফরম্যান্স আদায় করার জন্য। হয়তো আমরা অধিনায়কত্বে কোথাও ঘাটতি ছিল, হয়তো বা আমি সবার থেকে পারফরম্যান্স আদায় করে নিতে পারিনি।”
কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন রিয়াদও। হঠাৎ করেই দলের এমন পারফরম্যান্সের কারণ জানা নেই তার,”পারফরম্যান্স অবশ্যই আমরা ভালো করতে পারিনি। আমি নিজেও এই উত্তরটা খুঁজছি গত কিছুদিন ধরে যে কি মিসিং হচ্ছে। কি করা প্রয়োজন। একসাথে বসেছি, কথা বলেছি। ফাইন্ড আউট করার চেষ্টা করেছি যে কোথায় লেকিংস হচ্ছে বা আমরা কি কারণে করতে পারছি না। কি কারণে নিজেদের সেরাটা দিতে পারছি না! স্পেশালি যদি আপনি শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচটা ছাড়া পুরো টুর্নামেন্টেই আমরা খুবই খুবই বাজে পারফরম্যান্স দিয়েছি। দল হিসেবে এটা ভীষণ হতাশার।”
সমালোচনা নিয়ে অধিনায়কে কথা বলতে হয়েছে আরো বেশ কয়েকবার, “সমালোচনা সবসময়ই হবে। আমি কখনোই বলিনি যে সমালোচনা হবে না। সমালোচনা হবে এবং এটা আমাদের মেনে নিতে হবে। আমাদের দায়িত্ব দলের হয়ে পারফর্ম করা। যখন পারফর্ম করবেন না, অবশ্যই আপনাকে সমালোচিত হতে হবে।”
পাকিস্তান সিরিজেই নিজেদের সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে চাই টাইগাররা, “আমি হতাশ। আমরা যেভাবে ব্যাটিং করেছি আসলে এটা গ্রহণযোগ্য নয়। সামনে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ আছে। আমাদের অনেক কিছু নিয়ে কাজ করতে হবে।”
Discussion about this post