শিক্ষার আলো ডেস্ক
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা কোর্সের মেয়াদ কমানোর উদ্যোগ বন্ধসহ চার দফা দাবি বাস্তবায়নে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-শিক্ষক-পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ছাত্র-শিক্ষকরা।
সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. ফজলুর রহমান খানের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তারা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে পলিটেকনিক শিক্ষাব্যবস্থায় বিরাজমান শিক্ষক স্বল্পতা, শ্রেণিকক্ষ, ল্যাব, ওয়ার্কসপ সংকটসহ শিক্ষকদের পদোন্নতি আহ্বান জানান। এছাড়া দ্বিতীয় শিফটে কর্মরত শিক্ষকদের বকেয়া সম্মানি, বেতন-ভাতা দেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ভাতা বাড়ানোর দাবি জানান। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা আধুনিকায়নে মনোযোগী হওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেন।
শিক্ষক নেতারা ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও গত ৮/৯ বছরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রাথমিক নিযুক্তিতে বর্ধিত ইনক্রিমেন্ট, ৫০ শতাংশ পদোন্নতি, জনকল্যাণকর অর্গানোগ্রাম প্রণয়ন করা হয়নি। বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ ও ঢাকা ইমারত নির্মাণ বিধিমালার বিতর্কিত সংজ্ঞা ও বিভিন্ন ধারা/উপধারা সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়নি। এছাড়া সব বিদ্যুৎ কোম্পানিতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া, প্রাইভেট সেক্টরের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সম্মানজনক বেতন ও পদবি নির্ধারণের কার্যকর উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে নেওয়া হয়নি। যা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও ছাত্র-শিক্ষকদের বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। এটি প্রকৌশল কর্মক্ষেত্রকে উত্তপ্ত করে তুলবে বলেও সরকারকে সতর্ক করেন বক্তারা।
অবিলম্বে ৪ দফা দাবি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে দেশের পলিটেকনিক ছাত্র-শিক্ষক ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন শিক্ষক নেতারা।
Discussion about this post