আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীনের উহান শহরে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সংবাদ সংগ্রহে ছুটে গিয়েছিলেন সাংবাদিক ঝ্যাং। করোনার সংক্রমণ প্রথম প্রকাশ্যে এনে সারা বিশ্বের নজর কেড়েছিলেন তিনি। কীভাবে সেখানে করোনায় আক্রান্ত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে সে ছবি তুলে ধরেছিল ঝ্যাং। আর সে কারণেই কারাগারে যেতে হয় তাকে। সেখানে অনশন ধর্মঘট করে এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন ৩৮ বছর বয়সী সাংবাদিক ও সাবেক আইনজীবী ঝ্যাং ঝান। তার পরিবার এসব দাবি করেন। খবর এনডিটিভির।
২০২০ সালের মে মাসে আটক করার পর ডিসেম্বরে ঝগড়া ও বিশৃঙ্খলা উস্কে দেওয়ার জন্য তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ভিন্ন মত দমনের জন্যই তাকে এ দণ্ড দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
তার ভাই ঝাং ঝু গত সপ্তাহে এক টুইটার বার্তায় জানান, তার ওজন মারাত্মকভাবে কমে গেছে। ফলে সে বেশি দিন বাঁচবে না।
জানা গেছে, জেলের মধ্যেই প্রতিবাদ হিসেবে আমরণ অনশন শুরু করেন তিনি। এরই মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় কারাগারে কেটে গেছে তার। ঝ্যাংয়ের শারীরিক অবস্থা ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। তাকে জোর করে টিউবের মাধ্যমে খাওয়ানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি বলে দাবি তার পরিবারের।
ঝ্যাংয়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছে তার পরিবার। এমনকি তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য চীনা প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানিয়েছে। শুধু ঝ্যাং নয়, উহানের খবর প্রকাশ করতে যাওয়া আরও তিন সাংবাদিক চেন কুইশি, ফ্যাং বিন এবং লি জেহুয়াকেও আটক করেছিল চীনা প্রশাসন।
Discussion about this post