শিক্ষার আলো ডেস্ক
নিয়ম ভেঙে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শতাধিক জনবল নিয়োগের অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
সোমবার (৮ নভেম্বর) ইউজিসি থেকে জানা গেছে, ইউজিসির অনুমোদিত পদের চেয়েও শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়ম ভেঙে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর এসব নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আত্মীয়করণ, স্বজনপ্রীতি, আর্থিক লেনদেনসহ বিভিন্ন রকম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইউজিসি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি মিলিয়ে রাজস্ব খাতে ১১৩টি পদে জনবল নিয়োগ দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।
জানা গেছে, উন্মুক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব পদে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছিল ইউজিসি। এ ছাড়া ইউজিসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অস্থায়ী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত মোট ১৭৪ জনকে নিয়োগ দিয়েছে। এর মধ্যে ইউজিসির অনুমোদিত পদের বিপরীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৬৪টি পদে। বাকি শতাধিক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অস্থায়ী ভিত্তিতে। আর এ অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দিতে গিয়েই অনিয়মগুলো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দেশের চতুর্থ এ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা ২০১৮ সালে। এখনও শুরু হয়নি নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ। শুরু হয়নি শিক্ষাকার্যক্রমও। এ অবস্থায় অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১৭৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
এ বিষয়ে ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান জানান, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম খতিয়ে দেখতে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দের নেতৃত্বে তিনিসহ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্য হলেন, ইউজিসির উপপরিচালক মৌলি আজাদ (সদস্যসচিব)।
তিনি বলেন, রোববার রাতে তদন্ত কমিটি গঠনে চেয়ারম্যান স্যার সই করলে আজ সেই কমিটির চিঠি জারি করা হয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
Discussion about this post