খেলাধূলা ডেস্ক
আইসিসির আরেকটি বৈশ্বিক আসরের শিরোপা ডাকছে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডকে। সে জন্য দুই দলকেই পেরোতে হবে দুটি ধাপ। কিন্তু চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেই মুখোমুখি হতে হচ্ছে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডকে। ফলে একটি দলকে অবধারিতভাবে ছিটকে যেতে হচ্ছে ফাইনালের আগেই।
আজ জানা যাবে কোন দল আরেকটি আইসিসি শিরোপা জয়ের আরও কাছে পৌঁছাবে। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় মাঠের লড়াইয়ে নামছে আইসিসির বর্তমান ওয়ানডে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এবং আইসিসির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী নিউজিল্যান্ড। বলাই বাহুল্য, আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আরেকটি ক্লাসিক লড়াই দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব।
আড়াই বছর আগে বিশ্বমঞ্চে সবশেষ দেখায় লর্ডসে ঐতিহাসিক এক ক্রিকেট ম্যাচ উপহার দিয়েছিল ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ওই ফাইনালে কোনো দলই হার ডিজার্ভ করত না। তবে বাউন্ডারির অদ্ভুতুড়ে এক আইনে শেষ পর্যন্ত কপাল পোড়ে নিউজিল্যান্ডের।
পরপর দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের খেদ নিউজিল্যান্ড অবশ্য দূর করেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে। তবুও রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে বড় কোনো ট্রফি (চ্যাম্পিয়নস ট্রফি বাদে) তো নেই দলটির কেবিনেটে। সেই আক্ষেপ ঘোচানোর আরও কাছাকাছি যেতে কেন উইলিয়ামসের দল আজ জিততে চায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। খেলতে চায় আরও একটি ম্যাচ।
গতকাল ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়ামসন বলেন, ‘সেমিতে আসতে পেরে ভালো লাগছে। এখন ইংল্যান্ড-চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত। সবাই ফিট, এটাও দারুণ এক ব্যাপার। ছোটখাটো যেসব জিনিস ম্যাচ জেতার সুযোগ বাড়িয়ে দেবে, সেসব করার চেষ্টা করব। রোমাঞ্চকর একটা টুর্নামেন্টে দুই দলই ভালো খেলছে। আশা করি ভালো একটা ম্যাচ হবে। সেমিফাইনালে এসেছি, আশা করি আরেকটা ম্যাচ খেলতে পারব।’
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালে এসেছে ইংল্যান্ড। তবে নিজেদের নির্ভার রাখতেই কি-না, দলটির অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান নিজেদের ফেবারিট মানতে নারাজ। কিউইদের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচকে সামনে রেখে তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘দল হিসেবে সমন্বিত প্রচেষ্টা নিউজিল্যান্ডের বড় শক্তি। এ ম্যাচে নিজেদের তাই ‘‘স্ট্রং ফেবারিট’’ বলব না আমি। তার ওপর ওদের দলটা পূর্ণ শক্তির। আমাদের আছে চোটের সমস্যা। তবে এমন পরিস্থিতিতে ফাইনালে যেতে পারলে সেটা দারুণ এক অর্জন হবে।’
মরগ্যান যে চোট সমস্যার কথা বলেছেন, সে জন্য আজ নিয়মিত ওপেনার জেসন রয়কে পাচ্ছে না ইংল্যান্ড। সুপার টুয়েলভের শেষ ম্যাচে কাফ ইনজুরিতে পড়েন রয়। তার জায়গায় কে একাদশে ঢুকছেন সেটা ইংলিশ টিম ম্যানেজমেন্ট এরই মধ্যে ঠিক করে রেখেছে। তবে সংবাদ সম্মেলনে মরগ্যান বিষয়টি গোপনই রেখেছেন। শুধু জানিয়েছেন, রয়ের জায়গায় দলে ব্যাটার আসবে নাকি একজন বাড়তি বোলার খেলাবেন তারা, সেটা নির্ভর করবে ম্যাচের উইকেটের ওপর।
আবুধাবির উইকেট সব সময়ই ব্যাটিংসুলভ। এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান হয়েছে এই ভেন্যুতেই। রয়ের জায়গায় তাই স্যাম বিলিংসের একাদশে ফেরা প্রায় নিশ্চিত। তবে ইংল্যান্ড যদি একজন বাড়তি বোলার নিয়ে খেলে, তবে একাদশে ঢুকবেন ডেভিড উইলি। সেক্ষেত্রে জস বাটলারের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করতে দেখা যাবে জনি বেয়ারস্টো অথবা ডেভিড মালানের যেকোনো একজনকে।
নিউজিল্যান্ডের চোট সমস্যা নেই বললেই চলে। কেন উইলিয়ামসের কনুইয়ে ছোটখাটো ইনজুরি আছে বটে। তবে সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এই ব্যথা নিয়েই খেলবেন বলে নিশ্চিত করেছেন কিউই অধিনায়ক নিজেই।
ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ: জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), জনি বেয়ারস্টো, ডেভিড মালান, মইন আলি, ইয়ন মরগ্যান (অধিনায়ক), স্যাম বিলিংস, লিয়াম লিভিংস্টোন, ক্রিস ওকস, ক্রিস জর্ডান, মার্ক উড, আদিল রশিদ।
নিউজিল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ: মার্টিন গাপটিল, ড্যারল মিচেল, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ডেভন কনওয়ে (উইকেটরক্ষক), গ্লেন ফিলিপস, জেমস নিশাম, মিচেল স্যান্টনার, অ্যাডাম মিলন, টিম সাউদি, ইশ সোধি, ট্রেন্ট বোল্ট।
Discussion about this post