নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোগান্তি কমাতে এখন থেকে অ্যাপসের মাধ্যমে সব বিল পরিশোধ করতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ব্যাংকে না যেয়েই পরিশোধ করা যাবে পরীক্ষার ফরমপূরণ, ভর্তি আর আবাসিক হলের সব ধরনের ফি।
সোনালী ব্যাংকের ‘সোনালী ই-সেবা’ নামের অ্যাপ ব্যবহার করে দেওয়া যাবে সব ফি। ইতোমধ্যে বুয়েটে হলসহ বিভাগ আর একাডেমিক সব ধরনের ফি পরিশোধ সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। আর আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যক্রমে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকও আগ্রহ প্রকাশ করেছে পেমেন্ট অটোমেশনে যেতে।
অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতি ফি পরিশোধের সুবিধা দিতে এগিয়ে থাকা সোনালী ব্যাংক ‘সোনালী ই-সেবা’ অ্যাপসের ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় ফি পরিশোধ করতে পারবে। এরজন্য প্লে স্টোর বা অ্যাপলের অ্যাপস্টোর থেকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে হবে। অ্যাপস খুলে কয়েকটি অপশন থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ফি নামে অপশনটি ক্লিক করতে হবে। এরপর শিক্ষার্থীর স্টুডেন্ট আইডি, ফি এর ধরন এবং মোবাইল নম্বর দিতে হবে।
সব ঠিক থাকলে শিক্ষার্থীকে কত টাকা পরিশোধ করতে হবে তা নির্দেশ করবে সেখানেই। এরপরের ধাপে শিক্ষার্থীকে সব তথ্য সঠিক কিনা নিশ্চিত করতে হবে। পরের ধাপে শিক্ষার্থীকে তার পেমেন্ট গেটওয়ে নির্বাচন করতে হবে। সেখানে সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, যেকোনো ব্যাংকের মাস্টার/ভিসা/এমেক্স /নেক্সাস বা অন্যান্য কার্ড, অথবা মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতিতে বিকাশ, রকেট বা ইউক্যাশে ফি পরিশোধ করা যাবে।
সোনালী ব্যাংক সূত্র থেকে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফি পরিশোধ সুবিধা দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে সোনালী ব্যাংক। পাশাপাশি বুয়েটে পুরোপুরি অনলাইন পরিশোধ সুবিধা দেয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকতার সাথে কথা বলে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্রিক প্রাথমিক আবেদন, ফরম ক্রয়, ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সব ফি অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতিতে চলছিল। এরমধ্যে করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য বর্ষের শিক্ষার্থীদেরও পরবর্তী বর্ষে ভর্তি ফি পরিশোধে অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করার সুযোগ করে দেয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক বাবুল ইসলাম বলেন, এরমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ আবাসিক হলের প্রভোস্টদের সঙ্গে আলোচনায় হয়েছে। সেখানে প্রভোস্টদের একটা চেকলিস্ট দেওয়া হয়েছে কোন কোন খাতে তারা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি নেন। কোনো খাত সেখানে বাদ পড়ছে কি না তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেয়া হয় তাদের।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে চেকলিস্ট জমা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা নিয়ে কিছুটা ব্যস্ততা থাকায় কিছুটা ধীরগতিতে এগোচ্ছিল অটোমেশনের কাজ। সেটি শেষ হলেই দ্রুত শিক্ষার্থীদের জন্য চালু করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
Discussion about this post