শিক্ষার আলো ডেস্ক
রাজধানীসহ দেশের সব শীর্ষ পর্যায়ের স্কুলে ভর্তি বাণিজ্য বন্ধ হচ্ছে। ভর্তির আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শূন্য আসন সংখ্যার তালিকা দিতে হবে। তার ওপরে সফটওয়্যারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি লটারি আয়োজন করা হবে। লটারির মাধ্যমে আসনের সমান সংখ্যক শিক্ষার্থীর অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করা হবে বলেও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানা গেছে।
এদিকে, মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) মাউশি থেকে দুটি আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী বছরের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ২৫ নভেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলবে ৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আবেদন ফি ১১০ টাকা পরিশোধ করতে হবে টেলিটকের মাধ্যমে।
করোনার কারণে গত বছরের মতো এ বছর বিদ্যালয় থেকে ভর্তি ফরম বিতরণ করা হবে না। শুধু অনলাইনে https://gsa.teletalk.com.bd আবেদন করা যাবে। আবেদন প্রক্রিয়া শেষে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। সরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি হবে ১৫ ডিসেম্বর। আর বেসরকারি স্কুলের লটারি ১৯ ডিসেম্বর।
মঙ্গলবার বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অবস্থিত সব সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনলাইন এবং এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির আবেদনপত্র পূরণ ও ফি প্রদানসংক্রান্ত নিয়মাবলী প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
জানতে চাইলে মাউশির উপ-পরিচালক মো. আজিজ উদ্দিন মঙ্গলবার জাগো নিউজকে বলেন, এবার কোনো স্কুলে ভর্তি বাণিজ্য করার সুযোগ থাকছে না। আগামী ১৯ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শূন্য আসনের তালিকা পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হবে। সেসব আসনের ওপর ভর্তি লটারি করে নির্বাচিতদের তালিকা তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য আসনের সমান সংখ্যক শিক্ষার্থীকে অপেক্ষমাণ হিসেবে লটারি করে নির্বাচন করা হবে। কেউ যদি লটারিতে নির্বাচিত হয়েও ভর্তি না হয় তবে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তির সুযোগ পাবে। কেউ যদি সিরিয়াল অমান্য করে তবে তা আমাদের কাছে অভিযোগ এলে তাদের সহজেই প্রমাণ করা সম্ভব হবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভর্তিতে মানতে হবে যেসব শর্ত
সরকারি বেসরকারি উভয় স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে।
সরকারি বিদ্যালয়: ঢাকা মহানগরে ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও তিনটি শাখা থাকবে। এবার জাতীয়করণ হওয়া আরও দুটি বিদ্যালয় যুক্ত হয়েছে। এগুলোতে মাউশির অধীন কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় ভর্তির কাজ হয়। এবারও বিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছ বা গ্রুপ (এ, বি এবং সি) করে ভর্তির কাজ হবে। আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। এখান থেকে লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে।
আবেদনের সময় একজন প্রার্থী একই গ্রুপে পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বাধিক পাঁচটি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে। এছাড়া সারাদেশে আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে থানাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে।
উল্লেখ্য, ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না।
বেসরকারি বিদ্যালয়: ঢাকা মহানগরীর বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন কমপক্ষে একটি এবং সর্বোচ্চ তিনটি প্রশাসনিক থানা ক্যাচমেন্ট এরিয়া হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে। এছাড়া আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে মহানগর পর্যায়ের জন্য বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা সদরের সদর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে।
উল্লেখ্য, ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না।
Discussion about this post