খেলাধূলা ডেস্ক
২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে যাওয়ার পর তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে বাংলাদেশ। তবে এরপর ওমান ও পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে মূল পর্বে জায়গা করে নেয় টাইগাররা।কিন্তু এই ঘুরে দাঁড়ানোর মাঝেই ‘আয়নায়’ মুখ দেখতে বলে বিতর্কে জড়ান মুশফিকুর রহিম।
বিশ্বকাপে ওই ‘আয়না দেখা’ মন্তব্যের জেরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মুশফিককে হতে হয় বিদ্রূপের শিকার। এরপর মূল পর্বে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করে ফেরার পর পাকিস্তান সিরিজ থেকেও বাদ পড়েছেন জাতীয় দলের এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। কিন্তু তা সত্ত্বেও ‘আয়না’ বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না তার। এবার তাই সেই মন্ত্যবের ব্যাখ্যায় মুখ খুললেন ডানহাতি উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
আজ বুধবার দেশের শীর্ষ স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘আয়না’ বিতর্ক নিয়ে মুশফিক বললেন, ‘বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের অনেকের কাছ থেকে জেনেছি যে অনেক কথা হয়েছে। আমরা যেসব কথা বলেছি, সেগুলোর অনেক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। আসলে ওই সময়টায় এত চাপের মধ্যে থাকি, বিশ্বকাপ এত বড় ইভেন্ট, সেখানে বাইরে কে কী বলল, সেসব দেখে বা শুনে কিংবা ওসব ধরে রেখে পাল্টা প্রতিক্রয়া দেখানো, ওসব করা কঠিন। ব্যক্তিগতভাবে আমি কখনও করিনি। আমার কথায় যদি ফিরে আসেন, আসলে আমি ইঙ্গিত দিতে চেয়েছি, মানুষ হিসেবে শুধু আমি নই, জাতি হিসেবে আমরা সবাই নিজেদের একটু আয়নার সামনে দেখতে পারি, সেটা মানুষ হিসেবেই উচিত। ‘
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমি খারাপ খেলছি দেখে আমাকে বলবেন, কালকে ভালো খেললে তালি দেবেন, এটা এসবের অংশ নয়। সেদিক থেকে বলেছি। এখন কেউ যদি এটা ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে থাকেন বা অন্যভাবে বলে থাকেন, তাহলে আমি মনে করি আমি যেহেতু ওভাবে বলিনি, সে ক্ষেত্রে কে কী মনে করল, এটায় আমার কিছু করার নেই। আমরা খারাপ করায় মিডিয়া বা দেশের মানুষ, সবারই খারাপ লেগেছে। তবে আপনারাও (মিডিয়া) কিন্তু একটা অংশ। সবারই ব্যর্থতার অংশ এটি। এই উপলব্ধি থাকা উচিত। আমাদের যতটা খারাপ লেগেছে, অন্যদের হয়তো অতটা থাকবে না। তবে এটা সামগ্রিক একটা ব্যর্থতা। আমার কাছে মনে হয়, ব্যর্থতার জায়গাটায় যদি আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করতে পারি, পরস্পরের পাশে থাকি, তাহলে সময়টা দ্রুত পার হবে। ’
বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ ‘বিশ্বকাপের আগেও আমরা তিনটি সিরিজ জিতেছি। বিশ্বকাপের আগে তাই প্রস্তুতি যে রকম দরকার, সেরকমই ছিল। কিন্তু বিশ্বকাপে নির্দিষ্ট দিনে আমরা পারফর্ম করতে পারিনি। সুনির্দিষ্ট কারো দায় নেই। দু-একটি ম্যাচে আমি আরেকটু ভালো খেললে দল বের হয়ে আসতে পারত। তবে এরকম কিন্তু নয় যে আমরা টি-টোয়েন্টিতে ফেভারিট বা ফাইনাল খেলব। ভালো খেলতে পারলে হয়ত সুযোগ থাকত। ‘
টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে হলে স্পোর্টিং উইকেটের বিকল্প নেই বলে মত মুশফিকুর রহিমের। তিনি বলেন, ‘এই সংস্করণে (টি-টোয়েন্টিতে) টানা ভালো খেলতে হলে আমাদের ভালো বা স্পোর্টিং উইকেটে খেলতে হবে। সেখানে অভ্যস্ত হতে পারলে আরেকটু ভালো হতে পারত আমাদের ফল। ’
তথ্যসূত্র: কালের কণ্ঠ
Discussion about this post