নিজস্ব প্রতিবেদক
আমরা যখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্র ছিলাম সেই ৩৩-৩৪ বছর আগে আমরাও একটি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) জন্য দাবি জানিয়েছিলাম। তবে সেটি এখনও হয়নি।
অন্য অ্যালামনাইদের মতো আমিও চাই চট্টগ্রাম শহরে টিএসসি করা হোক।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) চবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, চবির এ চাকসু ভবনের সামনে থেকে আমাকে অপহরণ করা হয়েছিলো ১৯৮৮ সালে ১৪ ডিসেম্বর। তখন আমাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়। শহরে আমাকে হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে যে সাহস এবং শক্তি সঞ্চয় করেছি তা আমাকে রাজনৈতিক বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে সহযোগিতা করেছে।
ক্যাম্পাসে হিন্দি, ইংরেজি সংস্কৃতির চর্চা না করে রবীন্দ্র, নজরুল জয়ন্তী উদযাপনের অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু পাঠদান বা সার্টিফিকেটের জন্য নয়। মুক্তবুদ্ধি, মুক্তমতের চর্চা হবে ক্যাম্পাসে। জ্ঞান এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ছাড়া গণতন্ত্র সুসংহত হয় না। যেখানে মুক্ত মতকে দমন করা হয়, সেখানে সমাজ বধির। আমরা জ্ঞানভিত্তিক বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন সার্বিক উন্নয়ন নয়। তাই গবেষণায় গুরুত্ব দিতে হবে আমাদের। বছরে অন্তত দুইটি আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজন করা হোক। একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সাফল্য দেখলে অনুপ্রাণিত হই। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো র্যাং কিংএ পিছিয়ে থাকার কারণ হলো যারা আন্তর্জাতিক র্যাং কিং নির্ধারণ করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের অভাব। তাই এদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম বদিউল আলম, অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান প্রমুখ।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
Discussion about this post