শিক্ষার আলো ডেস্ক
তরুণ লেখক ও কবি সোয়েব আল হাসানের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘মেঘমানবী’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। দুঃখ, দহন, বিষাদ, ভালোবাসা, আশা, স্বপ্ন ও প্রতিবাদের কবিতা নিয়ে এই বই রচিত।
কবি সোয়েব আল হাসান বলেন, মেঘমানবীর কবিতা মূলত একান্ত ব্যক্তিগত গল্প। তবে ব্যক্তিগত এই কবিতাকে সকলেরই অন্তরঙ্গ মনে হবে। কবিতাপ্রেমীরা মেঘমানবীর পাতায় পাতায় নিজের সুখ-দুঃখ, আশা-ভালোবাসা, স্বপ্ন ও প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে পাবেন।
কবি জানান, মেঘমানবী প্রকাশিত হয়েছে অয়ন প্রকাশন থেকে। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বইবাজার ও রকমারিতে পাওয়া যাবে বইটি।
রাজধানীর পরিবাগে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র ভবনে ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে মেঘমানবী থেকে কবিতা আবৃত্তি করেন সাগরিকা নাসরিন, শাদমান হাবীব ও আহমেদ সাদি।
সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক প্রফেসর ডাক্তার হাফিজউদ্দীন আহমেদ, আবৃত্তিকার ও কথাসাহিত্যিক সাগরিকা নাসরিন, অয়ন প্রকাশনের সত্ত্বাধিকারী মিঠু কবির, কবি সালমান হাবীব, শুভানুধ্যায়ী ও পাঠকবৃন্দ। অনুষ্ঠানে মেঘমানবী নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ও প্রতিক্রিয়া জানান তারা।
সোয়েব আল হাসানের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম ‘এক কাপ অভিমানী চা’। গত একুশে বইমেলায় অয়ন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত বইটি সাড়া জাগিয়েছিল। ২০২২ বইমেলায় আসছে তার প্রথম উপন্যাস ‘বুকের ভেতর বিষাদপুর’।
তার জন্ম রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার রাজধরপুর গ্রামে, ১৯৯১ সালের ৬ নভেম্বর। মো. খবির মোল্লা ও খাদিজা বেগমের সৃষ্টিশীল এই সন্তান আন্তর্জাতিক ব্যবসায়, কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পর্যটনে স্নাতক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। দুই ভাই, তিন বোনের মধ্যে তিনি ছোট।
দেশীয় একটি স্বনামধন্য গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজে কর্মরত আছেন সোয়েব। তবে ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি তার ধ্যান-জ্ঞান। ক্লাস সেভেনে দেয়াল পত্রিকার জন্য লেখার মাধ্যমে শুরু। এরপর অসংখ্য কবিতা, ছোটগল্প, গান, নাটক, চিত্রনাট্য, ভ্রমণকাহিনী আর উপন্যাস লিখে সাহিত্য সাধনায় মগ্ন আছেন তিনি। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ম্যাগাজিনে নিয়মিত লিখছেন। আবৃত্তি করতে ভালোবাসেন সোয়েব, ছিলেন ছায়ানটে কবিতার আসরের ছাত্র।
সাহিত্যের পাশাপাশি সোয়েব আল হাসান ভালোবাসেন নিজের ভাবনা ও গল্প ক্যামেরায় তুলে আনতে। তার নির্মিত শর্টফিল্ম, মিউজিক্যাল ফিল্ম, ট্রাভেল ফিল্ম, ডকুমেন্টারি ও অনলাইন বিজ্ঞাপনচিত্রের (ওভিসি) সংখ্যা শতাধিক।
Discussion about this post