শিক্ষার আলো ডেস্ক
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির (বিএসসি) তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে বেরিয়ে আসছে একের পর এক জড়িতদের নাম।
এবার ওই পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক নিখিল রঞ্জন ধরের বিরুদ্ধে। নিখিল রঞ্জন বুয়েটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ২৪-এর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, নিয়োগ পরীক্ষার প্রত্যেকটি প্রশ্নের একটি সেট ব্যাগে করে নিখিল নিয়ে যেতেন। প্রেসের কর্মকর্তাদের তিনি তার ব্যাগে প্রশ্নের কপি রেখে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিতেন। তিনি আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপা ও পরীক্ষা আয়োজনের সব কাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন।
এ বিষয়ে নিখিল রঞ্জন বলেন, আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার সব কাজ করতাম। আমি শুধু এক্সটার্নাল এক্সপার্ট হিসেবে তাদের সহায়তা করেছি। ব্যাগে প্রশ্ন রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি প্রশ্ন বাসায় নিয়ে আসতাম না। ব্যাগে নেওয়ার পর এখানে আমাদের গার্মেন্টস আছে ওখানে ফেলে দিয়ে চলে আসতাম।
এদিকে, প্রশ্নপত্র ছাপাখানা থেকে নিয়ে নিখিল কোনো পরীক্ষার্থীকে দিতেন কি না সেটি যাচাই করছে তদন্তকারী সংস্থা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগ।
ডিবির তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহাদাত হোসেন সুমা গণমাধ্যমকে বলেন, প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে আমরা অনেকের নামই পাচ্ছি। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও ব্যবস্থাপনায় তাদের কী ভূমিকা থাকত, সেটি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটিকে জানাব।
তিনি বলেন, ‘কমিটির বক্তব্য ও আমাদের তদন্তে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
Discussion about this post