অনলাইন ডেস্ক
বর্তমান সময়ে চেকের মাধ্যমে লেনদেন বহুল পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। ব্যবসা-বাণিজ্যের লেনদেন, কোম্পানি কিংবা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে চেকের মাধ্যমে লেনদেন করা হয়ে থাকে। কিন্তু চেকের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রায়শ চেক ডিজঅনার (চেক প্রত্যাখ্যাত) হতে দেখা যায়। চেক ডিজঅনার হলে কী করবেন, কোথায় যাবেন? এই সমস্যা থেকে প্রতিকারের উপায় কী?
‘চেক ডিজঅনার হলে আপনি কী করবেন? এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইফফাত গিয়াস আরেফিন, আইনজীবী আফরোজা আক্তার এবং মো. আবদুল্লাহ আল শাইখ এর বক্তব্য তুলে ধরা হলো-
তিনি আরও বলেন, ‘চেকের মূল মালিকের অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকলে ব্যাংকে জমা দেওয়ার চেকের বিপরীতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা না দিতে পারার কারণ উল্লেখ করে একটি লিখিত স্টেটমেন্ট বা রশিদ দিয়ে থাকে। ওই রশিদ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে চেক গ্রহিতা চেকের মূল মালিককে রেজিস্ট্রি সহকারে নোটিশ পাঠাতে হবে। নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট (এনআই) অ্যাক্টের-১৩৮ ধারা অনুযায়ী ওই নোটিশ পাঠাতে হবে।’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আবদুল্লাহ আল শাইখ বলেন, ‘চেক প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর চেক গ্রহীতাকে চেকের মূল মালিকের কাছে নোটিশ পাঠাতে হবে। ওই নোটিশে চেকের মালিকের সর্বশেষ ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। কোনো কারণে ঠিকানা না পেলে জাতীয় পত্রিকায় নোটিশ প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। পরে সেই বিজ্ঞপ্তির কপি সংযুক্ত করে আদালতে মামলা করা যাবে।’
মামলা করতে হলে যেসব কাগজপত্র থাকতে হবে: যে চেকটি ডিজঅনার হয়েছে সেটি। এবং চেক প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর ব্যাংক থেকে দেওয়া রশিদ। চেকের মালিককে পাঠানো লিগ্যাল নোটিশের কপি এবং রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পাঠানো ডাক রশিদের কপি। চেকের মালিকের নাম পরিচয় (ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান) সম্পর্কে তথ্য থাকতে হবে।
যখন মামলা করা যাবে: লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর ৩০ দিন পর থেকে পরবর্তী এক মাসের মধ্যে আদালতে (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত) মামলা দায়ের করতে হবে।
Discussion about this post