নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে দুই ধাপে ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের অনুদান দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ধাপের অর্থ অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারী পেলেও দ্বিতীয় ধাপে অনেকেই অনুদানের অর্থ পাননি বলে জানা যায়। তাই মাঠ পর্যায় থেকে অনুদানের অর্থ না পাওয়া নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য পাঠাতে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ইআইআইএন নম্বরধারী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৪২ জন ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের তালিকা প্রস্তুতি করা হয়। এসব শিক্ষক-কর্মচারীদের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেওয়ার লক্ষ্যে তাদের তথ্য ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমে (আইবাস প্লাস প্লাস) আপলোড করা হয় এবং অর্থবিভাগ থেকে আনুমানিক ৪৮ হাজার ৫৩৩ জন ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
বলা হয়, শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে যাদের আইবাস প্লাস প্লাস সিস্টেমের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে তাদের জেলাভিত্তিক আনুমাকি ৪৮ হাজার ৫৩৩ জন রয়েছে। তাদের তথ্য পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের অনুদানের অর্থ প্রথম ধাপে ব্যাংক একাউন্টে দেওয়া হলেও এবার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাঠানো হচ্ছে। এতে করে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের নামের বানান ভুল, মোবাইল নম্বর ভুল, জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল রেজিস্ট্রেশন গরমিলসহ নানা কারণে শিক্ষক-কর্মচারীদের মোবাইল ব্যাংকিং হিসেবে টাকা যাচ্ছে না। প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারী এ অর্থ হাতে পায়নি। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী গত ঈদুল আজহার আগে এ অর্থ পাঠানোর কথা থাকলেও এখনও তা পৌঁছায়নি।
জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে অনুদানের জন্য তালিকাবদ্ধ ১ লাখ ২৪ হাজারের বেশি শিক্ষক-কর্মচারীর রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪০ হাজারের মতো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এ অর্থ পেয়েছেন। বাকিরা এখনও পাননি।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (বেসরকারি বিদ্যালয়) ফৌজিয়া জাফরিন বলেন, অনুদানের কারা পেয়েছেন আর কারা পাননি সে তথ্য পাঠাতে জেলা প্রকাশকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে তথ্য পাওয়ার পর তা অনুদানকারী প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, অনেক শিক্ষক-কর্মচারীর সফটওয়্যারে তথ্য দিতে ভুল করায় অর্থ বরাদ্দ থাকলেও তা আটকে আছে। এ কারণে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যারা অনুদানের অর্থ পাননি তাদের কাছে টাকা পৌছে দিতে নতুনভাবে সব ভুল সংশোধন করা হবে। এ অর্থ বছরে যদি সেটা না হয় তবে নতুনভাবে অনুমোদন করে এ অর্থ বিতরণ করা হবে। অনুদানের অর্থ সবাই পাবেন বলেও জানান।
Discussion about this post