অনলাইন ডেস্ক
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের প্রস্তুতকৃত করোনা টিকা বঙ্গভ্যাক্সের হিউম্যান ট্রায়ালের নৈতিক অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএমআরসির পরিচালক অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ‘গ্লোব বায়োটেককে ফেজ-১ ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী তারা এর ট্রায়াল পরিচালনা করবে।’ ড. রুহুল আমিন আরও বলেন, ‘আমাদের যে এ সংক্রান্ত যে কমিটি রয়েছে সেই কমিটি ট্রায়ালের নৈতিক অনুমোদন দিয়েছে। এখন তারা ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে আবেদন করবে।’
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, তারা এখন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য আবেদন করবেন। অধিদফতরের অনুমোদন পেলেই মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কাজ শুরু করবে গ্লোব বায়োটেক।
তিনি বলেন, আজ মানবদেহে বঙ্গভ্যাক্স টিকা প্রয়োগের নৈতিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা ক্লিনিক্যালের অনুমোদনের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরে আবেদন করব। অনুমোদন পেলেই বঙ্গভ্যাক্স টিকা মানবদেহে প্রয়োগ শুরু করব।
প্রসঙ্গত, গ্লোব বায়োটেক দাবি করে আসছে যে, বঙ্গভ্যাক্স অতি সংক্রমণশীল ডেল্টাসহ করোনাভাইরাসের সব ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে শতভাগ কার্যকর। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, বানরের শরীরে (অ্যানিমেল ট্রায়াল) যে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছে তার ফলাফলে এর কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ড. মহিউদ্দিন বলেন, ‘এ টিকাটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এক ডোজেই অ্যানিমেল ট্রায়ালে কার্যকর অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। আর এই টিকা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এক মাস এবং মাইনাস ২০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ছয় মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে।চূড়ান্ত ফলাফলে এ টিকাটি ডেল্টাসহ অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে শতভাগ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। বুস্টার ডোজ হিসেবেও বঙ্গভ্যাক্স দেওয়া যাবে।
Discussion about this post