খেলাধূলা ডেস্ক
দারুণ ইনিংস খেলার পথে মুশফিক বাংলাদেশের মাটিতে সর্বোচ্চ টেস্ট রানের মালিক বনে গেছেন। এতদিন ৩৭ ম্যাচের ৭০ ইনিংসে ২৬২০ রান নিয়ে তালিকার শীর্ষে ছিলেন তামিম ইকবাল। মুশফিক তাকে ছাড়িয়ে গেলেন ৪৪ ম্যাচের ৭৮তম ইনিংসে।
১৭ ঘণ্টার ব্যবধানে মুশফিকুর রহিমের সামনে সুযোগ ছিল শুধু দেশের মাটিতে নয়, সব মিলিয়েই রানের রেকর্ডে তামিমকে টপকে যাওয়ার। চট্টগ্রাম টেস্ট শুরুর আগে তামিমকে সিংহাসনচ্যুত করতে প্রয়োজন ছিল ৯৩ রানের। শুক্রবার ৮২ রান করে অপরাজিত থাকা মুশফিক পিছিয়ে ছিলেন ১১ রানে। তবে আজ (শনিবার) ৯ রান যোগ করায় তামিমকে আপাতত পেছনে ফেলা হলো না। ৯১ রানে আউট হয়ে চতুর্থবার নার্ভাস নাইটিনের শিকার মুশফিক।
ফাহিম আশরাফের বলটি মুশফিকের ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসে জমা পড়ে। আর তাতেই ২ রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় মুশফিককে। সব মিলিয়ে ২২৫ বলে ১১ চারে ৯১ রানে আউট হন মুশফিক। টেস্টে তামিমের করা ৪ হাজার ৭৮৮ রান থেকে ২ রান দূরে আছেন মুশফিক। ৭৬ ম্যাচে ১৩৯ ইনিংসে ৪ হাজার ৭৮৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে মুশফিক। তামিম ৬৪ ম্যাচে ১২৩ ইনিংসে এই রান করেছেন। এ তালিকায় তিনে আছেন সাকিব। বাঁহাতি ব্যাটার ৫৮ ম্যাচে ১০৭ ইনিংসে করেছেন ৩ হাজার ৯৩৩ রান।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করতে মুশফিকের প্রয়োজন ছিল ৯৩ রান। আগের দিন শুরুর বিপর্যয় সামলে দারুণ ব্যাটিং করেন তিনি। ১৯০ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার। পুরো ইনিংসটাই মুশফিক খুব স্বাচ্ছন্দ্যে খেলেছেন। চট্টগ্রামের উইকেটে শুরুতে ব্যাটারদের সংগ্রাম করতে হয়। প্রথম দিনের প্রথম ঘণ্টায় চার ব্যাটার সাজঘরে ফিরলেও অভিজ্ঞ মুশফিক ঠাণ্ডা মাথায় খেলেছেন। ৫৬ বলে ৫ রান নিয়ে প্রথম দিন লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিলেন মুশফিক। লাঞ্চ থেকে ফিরেই পাকিস্তানি বোলারদের হতাশ করেন। শনিবার সকালেও ধীরস্থিরভাবেই শুরু করেছিলেন মুশফিক।
ফরম্যাট বদলাতেই জ্বলে উঠলেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যাওয়া ম্যাচে সংবাদ সম্মেলনে এসেও বিতর্বিত মন্তব্য করেছিলেন। সেখানে সমর্থকদের আয়নায় নিজেদের মুখ দেখতে বলেছিলেন। এ নিয়ে খুব সমালোচনাও হয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে মুশফিক বাদ পড়ে যান পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। তবে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া চট্টগ্রাম টেস্টে নেমেই আলো ছড়ালেন তিনি।
টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক:
তামিম ইকবাল: ৪ হাজার ৭৮৮ রান (৬৪ ম্যাচ)
মুশফিকুর রহিম: ৪ হাজার ৭৮৭ রান (৭৬ ম্যাচ)
সাকিব আল হাসান: ৩ হাজার ৯৩৩ রান (৫৮ ম্যাচ)
মুমিনুল হক: ৩ হাজার ৩৫৫ রান (৪৬ ম্যাচ)
হাবিবুল বাশার: ৩ হাজার ২৬ রান (৫০ ম্যাচ)
Discussion about this post