শিক্ষার আলো ডেস্ক
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছে বুয়েট শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে বারোটায় রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এমন অভিব্যক্তি জানান শিক্ষার্থীরা। তবে তারা যাবজ্জীবন প্রাপ্ত পাঁচ আসামিরও মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থী আবু রাসেল বলেন, আমরা এই রায়ে খুশি। তবে আমাদের চাওয়া- সকলকেই মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। কারণ এরা সবাই হত্যার সাথে জড়িত। যা রায়ে বিচারক উল্লেখ করেছেন।
আরেক শিক্ষার্থী শিপন মাওলা বলেন, আমরা এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। এখন দেখার বিষয়, কত দ্রুত এই রায় কার্যকর করা হবে। আমরা অতিদ্রুত এই রায়ের কার্যকরী পদক্ষেপ দেখতে চাই।
এর আগে, বেলা সোয়া বারোটায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আবরার হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ২৫ জনকে মধ্যে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে আসামিদের এজলাসে তোলা হয়। সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছিলো। এ মামলার তিন আসামি পলাতক রয়েছে।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ওই দিনগত রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।
ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।
Discussion about this post