নিজস্ব প্রতিবেদক
‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ নামে নতুন একটি বিষয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পাঠ্যসূচিতে যুক্ত হচ্ছে। শিগগিরই একাডেমি কাউন্সিলের সভায় নতুন এ বিষয়টি চালুর ব্যাপারে প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হবে। একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন পেলে এ নতুন বিষয়টি পাঠ্যসূচিতে পড়ানো হবে।
বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ অনুসরণ করতে যেন তার সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা বেশি জানতে ও বুঝতে পারে সে লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নামক নতুন বিষয় পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করার চিন্তাভাবনা চলছে। একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদিত হলে বিষয়টি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করা হবে বলে তিনি জানান।
বুয়েট উপাচার্য আবরার হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে অবহিত হওয়া ও তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য সব সময় অতিরিক্ত সতকর্তা অবলম্বন করতে হবে।
তিনি জানান, বর্তমান প্রশাসন ছাত্রদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও মানবিকতাবোধ ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে মনিটরিং করার জন্য স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল গঠন, আর্থিক সমস্যা সমাধানের জন্য স্কলারশিপ চালু, শিক্ষার্থীদের যেন টাকা পয়সা রোজগারের জন্য বাইরে যেতে ননা হয় সে লক্ষ্যে অনক্যাম্পাস কাজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
উপাচার্য আরও বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যারিয়ান ডেভেলপমেন্ট সেল গঠন করা হচ্ছে। এ সেলের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীকে পাঠ্যবইয়ের বাইরে আইটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট ও অন্যান্য গুণাবলী অর্জনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরারের হত্যা মামলায় আদালতে অভিযুক্ত ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের ব্যাপারে উপাচার্য সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত কার্যকর যেন হয় তা দেখার অপেক্ষায় থাকবেন বলে জানান।
উপাচার্য বলেন, নিহত আবরারের পরিবারের পাশে রয়েছে তারা। প্রতি মাসে ৭৬ হাজার টাকা ভাতা বাবদ দেওয়া হচ্ছে আববারের বাবাকে। এ পর্যন্ত ৫৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১২/১৫ বছর এ টাকা দেওয়া হবে। মামলা পরিচালনায়ও আবরারের পরিবারকে সাহায্য করা হচ্ছে।
Discussion about this post