তানভীর পিয়াল
সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের দেশ বাংলাদেশ। বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক আবহে গড়ে উঠেছে একেকটি অঞ্চল। এমন আটটি অঞ্চলের সংস্কৃতি, বিশেষত্বকে তুলে ধরলো ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) শিক্ষার্থীরা।
‘ডিসকভারিং ডেল্টা’ থিম নিয়ে সাজানো হয়েছে ইডিইউ অ্যাক্সেস অ্যাকাডেমির এবারের কোর্সওয়ার্ক মেরাকি। ফল ২০২১ এর এই কোর্সওয়ার্কে অংশ নিতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা আটটি দলে ভাগ হয়ে ৮ মৌলিক সাংস্কৃতিক পরিচয় বহনকারী অঞ্চলকে প্রতিনিধিত্ব করছে।
এগুলো হলো- চট্টগ্রাম, ঢাকা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, কুষ্টিয়া, নোয়াখালি ও বান্দরবান। আজ ৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় ইডিইউর খুলশীস্থ ক্যাম্পাসে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়, যা শেষ হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, ইডিইউর শিক্ষার্থীরা কেবল তাত্ত্বিক জ্ঞানে শিক্ষিত হয়ে উঠছে না, একইসাথে মননশীলতা ও সৃষ্টিশীলতার ছোঁয়ায় বিকশিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মাঝে লিডারশিপ, ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স, রিসার্চ আন্ডারস্ট্যান্ডিং, সফটস্কিল ডেভলমেন্ট, ডোমেইন নলেজ, গ্লোবাল সিটিজেনশিপÑ এসব বৈশিষ্ট্য তথা ইডিইউ গ্র্যাজুয়েট অ্যাট্রিবিউটগুলো গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতেই অ্যাক্সেস অ্যাকাডেমি কাজ করে। এই অ্যাকাডেমির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক তারতম্য এবং ঘাটতিগুলো কাটিয়ে তাদের সমমানের করে তোলা হচ্ছে।
উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান বলেন, বিশ্ব নাগরিক হয়ে ওঠার প্রথম ধাপ নিজের দেশ সম্পর্কে জানা। এ কোর্সওয়ার্কের ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল নিয়ে তাদের জ্ঞান বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে তারা বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের সত্যিকার সাংস্কৃতিক পরিচয় তুলে ধরতে পারবে।
‘মেরাকি’ শব্দটি গ্রিক, যার অর্থ ভালোবেসে কাজ করা। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরণের সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানো এবং এসব কাজের প্রতি তাদের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি করা এর অন্যতম লক্ষ্য। প্রচলিত পরীক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের উন্নতি ও মেধা যাচাইয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই কোর্সওয়ার্কগুলো। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে দলগত কাজ করার প্রবণতা ও নেতৃত্ব তৈরি করাও এর লক্ষ্য।
মেরাকিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধিত্ব করা অঞ্চলগুলোর বিশেষ খাবার, সাজ-পোশাক থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী, সাংস্কৃতিক পরিচিতির উপাদানসমূহের পশরা সাজিয়ে স্টল রাঙিয়ে তোলে। এসময় স্টল পরিদর্শনকারীদের সেসব অঞ্চল সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা দেয় তারা। তাদের অনেকেই সেসব অঞ্চলের নিজস্ব ভাষায় কুশল বিনিময়ও করেন অতিথিদের সঙ্গে। পরে বিকেলে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এসব অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী নাচ-গানসহ হরেক রকমের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিবেশিত হয়। এদের মধ্যে বিজয়ী হয়েছে টিম চাটগাঁ।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সামস উদ-দোহা, রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া, অ্যাসোসিয়েট ডিন যথাক্রমে প্রফেসর ড. নাজিম উদ্দিন, প্রফেসর ড. রকিবুল কবির, শহিদুল ইসলাম চৌধুরীসহ ফ্যাকাল্টি মেম্বার, অ্যাক্সেস অ্যাকাডেমির ইনস্ট্রাকটর ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
Discussion about this post