নিজস্ব প্রতিবেদক
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নতুন প্রজন্মকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চাহিদা অনুযায়ী নতুন দক্ষতাসম্পন্ন করে গড়ে তোলার জন্য উপযুক্ত যোগ্যতা সন্নিবেশিত করে একটি যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম প্রণয়নে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকার অনেকগুলো জাতীয় লক্ষ্য হাতে নিয়েছে। শিক্ষাই কিন্তু মূল হাতিয়ার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নে। আমরা বলছি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব দরজায় কড়া নাড়ছে। আসলে কড়া নাড়ছে না দরজা ভেঙে ভেতরে আসার মতো অবস্থা। সেখানে আমরা প্রস্তুত কি না। আমরা তো আসলেই সেভাবে প্রস্তুত নই এখনো। আর এই প্রস্তুতি নিতেও হাতিয়ার শিক্ষা।
পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমে বিশেষ যে পরিবর্তনগুলো আনা হয়েছে সেগুলো সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন-
* যোগ্যতাভিত্তিক শিখন নিশ্চিত করা এবং শিখনকালীন মূল্যায়নকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া।
* নম্বরভিত্তিক সনদের পরিবর্তে পারদর্শিতার রেকর্ডের ওপর গুরুত্বারোপ।
* নির্দেশনার পরিবর্তে শিখন-শেখানো প্রক্রিয়াকে অনুসন্ধানমূলক কার্যক্রমে রূপান্তর।
* মুখস্থনির্ভর জ্ঞানের পরিবর্তে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনে অনুপ্রাণিত করা।
* প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় শিখনকে সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা করা এবং অভিভাবক ও কমিউনিটি সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা।
* শিক্ষার্থীকে গ্রহণকারীর পরিবর্তে উৎপাদনকারী হিসেবে গড়ে তোলা।
* শিক্ষার্থীকে শেখানোর পরিবর্তে শিক্ষককে শিখনে সহায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া।
* একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি জীবন ও জীবিকা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দীপু মনি বলেন, আমরা চাই শিক্ষার্থীরা যেন অনুসন্ধিৎসু হয়। শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসা করার সুযোগ দিতে হবে। পড়াশোনাটা যেন কষ্টকর দিক না হয়, শিক্ষার্থীরা যেন উৎসাহর সঙ্গে গ্রহণ করে। এসব বিষয় নতুন শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
Discussion about this post