এম আবদুল আলীম
রফিকুল ইসলাম বহু গুণে গুণান্বিত এক কীর্তিমান মানুষ। অধ্যাপনা, গবেষণা, সংস্কৃতি-সাধনা এবং সর্বোপরি বাঙালির জাতীয় জীবনের গৌরবময় অনেক ঘটনায় প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারী। বাংলাদেশে নজরুল-গবেষণায় তিনি অদ্বিতীয়, ভাষাতত্ত্বের আধুনিক পঠন-পাঠনেরও অন্যতম পথিকৃৎ। আটচল্লিশের ভাষা-আন্দোলন খুব কাছে থেকে দেখেছেন, বায়ান্নর ভাষা-আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। শুধু তাই নয়, একজন শৌখিন ফটোগ্রাফার হিসেবে ওই আন্দোলনের ছবি তুলে ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন। পরবর্তীকালে একুশের চেতনা লালন, বিকাশ এবং পরিচর্যায় রেখেছেন অসামান্য অবদান। ষাটের দশকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী যখন বাঙালি সংস্কৃতির মূলোৎপাটনের দুরভিসন্ধি চালিয়েছে, তখন তা রুখে দিতে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যদের দ্বারা নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। এসব কোনোকিছুই তাঁকে বিচলিত করেনি; বরং স্বীয় বিশ্বাস এবং আদর্শে অটল থেকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে গেছেন দৃঢ় পদক্ষেপে।
রফিকুল ইসলাম সাহিত্য-সংস্কৃতি সাধনা এবং গবেণায় ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। ঢাকা আরমানিটোলা হাইস্কুল, ঢাকা কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে অনেক গুণী শিক্ষকের সান্নিধ্য লাভ করে নিজের চেতনা ও মননের জগতকে শাণিত করেন। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, মুহম্মদ আবদুল হাই, মুনীর চৌধুরী প্রমুখ শিক্ষকের নিবিড় সান্নিধ্যে নিজের চিন্তাশীলতার উৎকর্ষ সাধন করেন। ১৯৬০ সালে ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাতত্ত্বে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। ভাষাতত্ত্বে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন মিশিগ্যান-অ্যান আরবর বিশ্ববিদ্যালয়, হাওয়াই ইস্টওয়েস্ট সেন্টারসহ আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরবর্তীকালে কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও কবিতা নিয়ে লাভ করেন পিএইচডি ডিগ্রি। ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক পদে যোগদান করেন, অধ্যাপক হন ১৯৭৮ সালের ১লা অক্টোবর। বিভাগীয় চেয়ারম্যান (১২ই ডিসেম্বর ১৯৮৪ থেকে ১১ই ডিসেম্বর ১৯৮৭), নজরুল অধ্যাপক এবং নজরুল-গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস অব বাংলাদেশ-এর উপাচার্য (২০০৭-২০১১); ছিলেন নজরুল ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি, বাংলা একাডেমির সভাপতি এবং জাতীয় অধ্যাপক (নিযুক্ত হন ২০১৮ সালের ১৯শে জুন)। প্রশাসনিক নানা দায়িত্ব পালন করলেও গবেষণা বা পাঠবিমুখ ছিলেন না। ভাষাতত্ত্বে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলেও থিতু হন নজরুল-গবেষণায়। তাঁর শিক্ষক অধ্যাপক মুহম্মদ আবদুল হাইয়ের নির্দেশনায় তিনি এ পথে আসেন। নজরুলের জীবন ও সৃষ্টিকর্ম নিয়ে গবেষণা করেছেন পাঁচ দশক। ‘নজরুল নির্দেশিকা’, ‘নজরুল-জীবনী’, ‘কাজী নজরুল ইসলাম : জীবন ও কবিতা’, ‘নজরুল প্রসঙ্গে’, ‘কিশোর কবি নজরুল’ এসব আকর গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। তাঁর অন্য গ্রন্থগুলো হলো—Introduction to Eastern Bengali Dialect, Monograph (১৯৬৩) , ভাষাতত্ত্ব (১৯৭০), An Introduction to Colloquial Bengali (১৯৭০), বীরের এ রক্তস্রোত মাতার এ অশ্রুধারা (১৯৭৩), বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম (১৯৮১), ভাষা আন্দোলন ও শহীদ মিনার (১৯৮২), বাংলা ভাষা আন্দোলন (১৯৮৪), শহীদ মিনার (১৯৮৬), আবদুল কাদির (১৯৮৭), আমাদের মুক্তিযুদ্ধ (১৯৯১), ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্য (১৯৯৩), ভাষাতাত্ত্বিক প্রবন্ধাবলী (১৯৯৮), স্বাধীনতা সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (২০০৩), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ বছর (২০০৩), ঢাকার কথা (২০০৫)। সম্পাদনা করেছেন অনেক গ্রন্থ; যার মধ্যে রয়েছে নজরুল-রচনাবলী, আবুল মনসুর আহমদ রচনাবালী, হাজার বছরের বাংলা সাহিত্য, সৈয়দ আলী আহসান রচনাবলী, প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ (যৌথ) প্রভৃতি।
রফিকুল ইসলামের বিশেষ কৃতিত্ব রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ এবং সেই আন্দোলনের আলোকচিত্র ধারণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসসূত্রে খুব কাছে থেকে দেখেছেন আটচল্লিশের ভাষা-আন্দোলনের ঘটনাপ্রবাহ; আর ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন বায়ান্নর ভাষা-আন্দোলনে। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা ভাষাবিষয়ক সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন শেষে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ঢাকায় ফিরে আসার পর বিমানবন্দরে কীভাবে পুষ্পিত শুভেচ্ছা লাভ করেছিলেন এবং বাংলা ভাষার বিরোধিতাকারী মুসলিম লীগ সদস্যবৃন্দ কীভাবে জুতার মালা পেয়েছিলেন, সে-ঘটনার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেছেন : ‘আমার এখনো মনে আছে, দীরেন্দ্রনাথ দত্ত এবং অন্য সদস্যরা যখন ওরিয়েন্ট এয়ারওয়েজ নামে একটি বিমান ছিল, তাতে করাচি থেকে দিল্লি, দিল্লি থেকে কলকাতা, কলকাতা থেকে ঢাকায় যখন এসে পেঁছৈালেন, তেজগাঁও বিমানবন্দরে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রেরা ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে ফুলের মালা দিয়ে আর মুসলিম লীগের সদস্যদের জুতার মালা দিয়ে সংবর্ধনা জানাল। এই দৃশ্য আমার খুব মনে আছে।’ এগারোই মার্চ ধর্মঘট এবং রেসকোর্স ময়দান ও কার্জন হলে জিন্নাহর উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা তিনি নিজ কানে শুনেছেন। বায়ান্নর ভাষা-আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তিনি প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন। ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ধর্মঘট, পতাকা দিবসের কর্মসূচি, একুশে ফেব্রুয়ারির আগের দিনের বিভিন্ন প্রস্তুতিসভা এবং একুশে ফেব্রুয়ারি আমতলার সমাবেশে যোগ দেন। একুশে ফেব্রুয়ারি-পরবর্তী কর্মসূচিতে তিনি যোগ দেন। ১৯৫৩ সালে একুশের প্রথম বর্ষপূর্তির কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের পাশাপাশি তিনি একুশের ছবি তুলে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। সেই হীরকদ্যুতিময় মুহূর্তের স্মৃতিচারণা করে বলেছেন : ‘তখন আমি ঠিক করলাম যে, আমি ছবি তুলব। কিন্তু ছবি তুলব কোথা থেকে? তখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলাভবনের ছাদে উঠে গেলাম। ছাদে উঠতে গিয়ে বিপদ হলো যে, ছাদে ওঠার কোনো সিঁড়ি ছিল না। ছাদে একটা ফোকর ছিল শুধু। আমার বন্ধুরা আমাকে ঠেলে ছাদে তুলে দিল। আমি ছাদের ওপর থেকে পুরনো কলাভবন, এখন যেটা মেডিকেল কলেজের আউটডোর ওইখানে। … সেখান থেকে আমি মোটামুটি সভার, শোভাযাত্রার, ওই যে ১০ জন ১০ জন করে লাইন করে দাঁড়ানো। বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবনের সিংহদ্বার সেদিকে যাচ্ছে। এই সব ছবি আমি তুলতে পারলাম।’ রফিকুল ইসলামের সেই ছবিগুলো বর্তমানে ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাসের অমূল্য সম্পদ। ১৯৫৩ সালে প্রথম শহীদ দিবস পালনের বহু ছবি তিনি তুলেছেন। ইডেন কলেজের ছাত্রীদের শহিদ মিনার নির্মাণের ছবিও তিনি ধারণ করেন। তাঁর তোলা ছবি এবং আর্ট স্কুলের শিল্পীদের আঁকা ভাষা-আন্দোলনের ছবি নিয়ে ১৯৫৪ সালে বর্ধমান হাউসে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এবং কাজী মোতাহার হোসেন ওই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। কালপরিক্রমায় রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলনের দলিলপত্রের অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে, কিন্তু রফিকুল ইসলামের ছবিগুলো এখনো সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের জীবন্ত সাক্ষী হয়ে আছে। ছবিগুলো এখন বিভিন্ন জাদুঘর এবং সংগ্রশালায় শোভা পায়। শুধু তাই নয়, বাঙালির গৌরবের একুশের স্মারক হিয়েছে ছড়িয়ে পড়েছে দেশ থেকে দেশান্তরে।
একুশের চেতনায় দীপ্ত রফিকুল ইসলাম অল্প বয়সেই বাঙালির ভাষা-সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি অনুরাগী হন। তিনি মঞ্চ ও টিভি নাটকে অভিনয় করেন। নাটক পরিচালনায়ও রাখেন বিশেষ অবদান। পাকিস্তান আমলে জাতীয় দুর্দিনে বাঙালি সংস্কৃতির অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র-জন্মশতবর্ষ এবং ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ‘সাহিত্য ও সংস্কৃতি সপ্তাহ’ আয়োজনে অবদান রাখেন। ১৯৬৭ সালে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তথ্য ও বেতারমন্ত্রী খাজা সাহাবুদ্দীন বেতার ও টেলিভিশনে রবীন্দ্রসঙ্গীত বন্ধের অপচেষ্টা চালালে তা রুখে দিতে রফিকুল ইসলাম মাঠে নামেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সম্পাদক হিসেবে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন ও দাঙ্গাবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অবদান রাখেন। ১৯৭১ সালের আগস্ট মাসের মাঝামাঝিতে রফিকুল ইসলামসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষককে ক্যান্টনমেন্টের নিপীড়ন কেন্দ্রে আটকে রেখে তাঁদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। সেই দুর্বিষহ জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেছেন : ‘বন্দিদের ইন্টারোগেশন বা জিজ্ঞাসাবাদের নামে মানসিক ও দৈহিকভাবে নির্যাতন করা হতো, আন্তর্জাতিক চাপে আমাদের পাঁচজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের চার্জশিট দিয়ে প্রথমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর এবং পরে মুক্তি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসে থাকার এবং মার্শাল ল হেডকোয়ার্টার্সে ডাকা মাত্র হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আমাকে ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ডেকে পাঠানো হয়, সেখান থেকে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসি এবং গা ঢাকা দিয়ে আলবদরদের হামলা থেকে রক্ষা পাই।’
সবকিছুর ঊর্ধ্বে ছিলেন একজন জাত শিক্ষক। এক নাক্ষাৎকারে বলেছেন : ‘আসলে আমি বোধহয় জন্মগতভাবে একজন শিক্ষক এবং একজন শিক্ষকের জীবনে দুটি কর্ম; একটি হচ্ছে গবেষণা, আরেকটি হচ্ছে শিক্ষকতা। ১৯৫৭ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত আমি আমার গবেষণা এবং শিক্ষকতা জীবন চালিয়ে যাচ্ছি। … জীবনের শেষদিন পর্যন্ত একজন শিক্ষক হিসেবে, একজন গবেষক হিসেবে আমি থাকতে চাই।’ বাস্তবেও তিনি তা-ই ছিলেন। একজন শিক্ষক ও গবেষক হিসেবে আজীবন কাজ করেছেন। তিনি জন্মেছিলেন ১৯৩৪ সালের ১রা জানুয়ারি; জন্মস্থান জামালপুরের প্রদ্যোতনগর রেলওয়ে হাসপাতাল কোয়ার্টার্স। পৈতৃক নিবাস চাঁদপুরের উত্তর মতলব থানার কলাকান্দা গ্রামে। পিতা জুলফিকার আলী ছিলেন প্রথিতযশা চিকিৎসক। ভাই আতিকুল আলম ছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী, বোন মাসুমা খাতুন ছিলেন ভয়েস অব আমেকিায় কর্মরত। স্ত্রী জাহানারা ইসলাম শিক্ষক ও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী। কন্যা মেঘলা, পুত্র বর্ষণ উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত। মায়ের কাছে পেয়েছিলেন মানবতার শিক্ষা। তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষে তাঁর মা একটি দরিদ্র পরিবারকে দু বেলা খাইয়ে বাঁচিয়েছিল। শিশু রফিকুল ইসলামের মনে মায়ের এই মানবিকতা গভীর রেখাপাত করেছিল। ছয়চল্লিশের দাঙ্গা তাঁকে বিচলিত করেছিল, যা তাঁর চেতনায় উপ্ত করে অসাম্প্রদায়িকতার প্রাণবীজ, সেই চেতনা আমৃত্যু লালক করেছেন। ছিলেন অক্লান্ত কর্মী; কর্মের স্বীকৃতি-স্বরূপ লাভ করেছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮৭), একুশে পদক (২০০১), স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১২), আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট পদক (২০২১)সহ নানা পুরস্কার ও সম্মাননা। আজীবন পথ চলেছেন মুক্তবুদ্ধি, প্রগতিশীলতা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার ঝান্ডা হাতে। নিষ্ঠাবান গবেষক, তেজোদীপ্ত বুদ্ধিজীবী এই পণ্ডিত এবং কীর্তিমান মানুষকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
Discussion about this post