মোঃ মুন্নাফ হোসেন
মানসম্মত শিক্ষার জন্য চাই উপযুক্ত পরিবেশ, সময় ও সুযোগ। একটি শিশুর বেড়ে উঠা নির্ভর করে তার নিজস্ব নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমে। উপযুক্ত সময় ও সুযোগ থাকলে একজন কোমলমতী শিক্ষার্থী তার প্রকৃত মেধাকে ফুটিয়ে তুলতে পারে।
প্রাথমিকের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল নয়টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যালয়ে থাকার ফলে একজন কোমলমতী শিক্ষার্থী পড়াশোনাকে একঘেয়েমি মনে করে এড়িয়ে চলে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাসহ অন্যান্য কাজেও সম্পৃক্ততা অতীব জরুরি।
প্রাথমিকে ফুলের মত সুন্দর ও কোমলমতী শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার উপযুক্ত স্থান হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর এই কোমলমতি শিশুদের প্রতি চিন্তা করেই ৬০% শিক্ষক নেওয়া হয় নারী। একজন নারী হচ্ছেন একাধারে একজন মা, একজন গৃহিণী বা একজন আদর্শ স্ত্রী।
কিন্তু অতীব দুঃখের বিপ্রাথমিকে উপস্থিত হওয়ার সময় নয়টায় থাকার ফলে একজন নারী শিক্ষককে পাহাড় সমান কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়।কাক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে জেগে ধর্মীয় প্রার্থনা শেষে পরিবারের রান্নাবান্নার কাজে সময় চলে যায়। তারপর নিজের সন্তান ও স্বামীকে প্রস্তুত করে সকাল নয়টায় বিদ্যালয়ে যাওয়া অত্যন্ত দূরুহ কাজ।
তবুও চাকরী হারানোর ভয়ে বা নিজের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে একজন নারী শিক্ষক সকাল নয়টায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হোন। অন্যদিকে সকাল নয়টায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়া একজন কোমলমতি শিক্ষার্থীর পক্ষেও কষ্টকর। আর কিছুটা সময় পেলে নিজের পড়া আরো ভালোভাবে আয়ত্ত্ব করে বিদ্যালয়ে আসতে পারতো।
তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সময়সূচি সকাল ১০ টা হতে শুরু করা উত্তম। এতে করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ের জন্য মঙ্গলজনক হবে। প্রাথমিকে ক্লাশ শুরু সকাল ১০ ঘটিকায় এবং ৩ ঘটিকায় ছুটির ব্যাবস্থা করা এখন সময়ের দাবী।
আমাদের শ্রদ্ধাভাজন কর্তৃপক্ষ একটু সুদৃষ্টি প্রদান করলে প্রাথমিক শিক্ষকবৃন্দ মানসম্মত শিক্ষা দিতে আরো এগিয়ে যাবে। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সময়সূচি সকাল ১০ ঘটিকা হতে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত বাস্তবায়ন করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
লেখক-মোঃ মুন্নাফ হোসেন, সহকারী শিক্ষক, মমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল।
Discussion about this post