শিক্ষার আলো ডেস্ক
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফুলব্রাইট স্কলারশিপ থেকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশের আবেদনকারীদের বাদ দেয়া হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্যটি সঠিক নয়।
মঙ্গলবার(১৪ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যুরো অব এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স (ইসিএ) এর ওয়েবসাইটে ভিজিট করে দেখা যায়, বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা ফুলব্রাইট স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ওয়েবসাইটে স্পষ্টভাবে বৃত্তি চালু থাকার বিষয়টি লেখা রয়েছে। ওয়েবসাইটের লিংক পেতে ক্লিক করুন এখানে।
যে ভুল তথ্যটি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল, তাতে বলা হচ্ছিল বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ফুলব্রাইট স্কলারশিপ থেকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বাদ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার শুরু হয়।
ভিত্তিহীন এ তথ্যটি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যুরো অব এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স-এর বরাত দিয়ে প্রচার করা হলেও তাদের ওয়েবসাইটে এমন কোনো সংবাদ খুজে পাওয়া যায়নি। বরং স্পষ্টভাবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদনের কথা উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তা পরিস্থিতির বিষয়েও কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার সবচেয়ে সম্মানজনক স্কলারশিপ ‘ফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম’। প্রতি বছর স্নাতকোত্তর বা পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে ইচ্ছুক ১৫৫টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৮০০ জন বিদেশি শিক্ষার্থীকে ফুলব্রাইট বৃত্তি প্রদান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ ফ্যাকাল্টি মেম্বার, গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জুনিয়র থেকে মিড লেভেলের কর্মকর্তা, এনজিওসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আবেদনকারীরা সাধারণত এ স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন।
এছাড়া, মেডিক্যাল সায়েন্স, শিক্ষানীতি, জনস্বাস্থ্য, জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সামাজিক বিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য, ফার্মাসি, এমবিএ, অর্থনীতিসহ নানা বিষয়ে আবেদন করা যায়। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, এমআইটি, জর্জিয়া টেক, ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানসহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এই স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এই স্কলারশিপ প্রাপ্তদের মধ্যে এই পর্যন্ত ৫৩ জন নোবেল পুরস্কার আর ৭৮ জন পুলিৎজার পুরস্কারে বিজয়ী হয়েছেন।
Discussion about this post