শিক্ষার আলো ডেস্ক
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে আলোচনা সভা, শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ও বিশ্বদ্যিালয়ের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন, মসজিদে দোয়া ও মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আবু সালেহর সঞ্চালনায় আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুব।
আলোচনা সভার শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরবর্তীতে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান, প্রক্টর ও আইন অনুষদের ডিন ড. মো. রাজিউর রহমান, বাংলা বিভাগের সভাপতি জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, স্বাধীনতা দিবস হলের প্রভোস্ট মো. আব্দুর রহমান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মজনুর রশিদ, শামসুল আরেফিন, ইলেক্ট্রক্যিাল এন্ড ইলেক্টনিক ইঞ্জিনিয়রিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আরিফুজ্জামান রাজিব, অফিসার্স এসোসিয়েশনের কার্যকরী সদস্য তরিকুল ইসলাম, শিক্ষার্থী কারিমুল হক, শেখ ফাহিম প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। আলোচনা সভার সভাপতি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুব তার বক্তব্যে বলেন, একটা জাতির বুদ্ধিজীবী হত্যা করা যায়না, তার প্রমাণ ২০২১ সালের উন্নয়নশীল বাংলাদেশ। একটি জাতির জন্য বুদ্ধিজীবী অপরিহার্য। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সমগ্র বিশ্বের একজন বুদ্ধিজীবী, কারণ তিনি ছিলেন সারা বিশ্বের নিপিড়ীত জনগণের প্রতিনিধি।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুবের নেতৃত্বে উপজেলা চত্বরে জয়বাংলা পুকুর পাড়স্থ শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে এবং সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
এসময় শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, বিভিন্ন বিভাগ ও হল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে। পরবর্তীতে, বাদ যোহর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২ টা এক মিনিটে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।
Discussion about this post