অনলাইন ডেস্ক
দক্ষ ও অভিজ্ঞ মানুষ গড়ে তোলা, সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট সেবা এবং সকল সেবাকে দ্রুত মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়াই ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য। গত ১ বছরে সুরক্ষা অ্যাপ থেকে ১৬০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। গত ২১ মাসে ১০০৬ টি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ডিজিটালই সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ১ কোটি প্রবাসী ডিজিটালই ভাবে দেশের নিজ পরিবারের কাছে টাকা পাঠিয়েছেন। ৫ কোটি ছাত্র – ছাত্রী ডিজিটাল মাধ্যমে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
কৃষি – শিক্ষা- স্বাস্থ্য সকল ক্ষেত্রেই প্রযুক্তির সার্থক ভূমিকা ছিলো করোনা মহামারিতে। দেশে মোট ৪৪টি হাইটেক পার্ক আছে। দেশের ৬৪ টি জেলায় হাইটেক পার্ক তৈরি হবে যেখানে ৭০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বর্তমানে হাইটেক পার্কে ১৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে । ডেমরায় তৈরি হবে সবচেয়ে বড় হাইটেক পার্ক যেখানে ৫০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ পাচ্ছে দেশের সবচেয়ে ৯টি বড় কোম্পানি থেকে।
ডেমরায় ১৫ হাজার মানুষের কর্ম সংস্থান হবে। নাসা ভু-উপগ্রহ কেন্দ্রের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী বিজ্ঞানীরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হয়েছে যা দেশের স্মমান আর গৌরব অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে বিশ্ব পরিমন্ডলে।
২০৩৫ সালের ৪ টার্গেট ৩০ লাখ কর্মসংস্থান, আইসিটি থেকে ৫বিলিয়ন আয় , শতভাগ ইন্টারনেট সেবা এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দাঁরা দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়া। আইসিটি থেকে ২০২১ সালের অর্জন ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার । স্বাধীনতার পরে অবৈতনিক সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারী করেন বঙ্গবন্ধু। এর পরে ২১ বছর পরে আওয়ামীলীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন সকল টেলিফোন ছিলো এনালক এরপরে প্রধানমন্ত্রী সকল টেলিসেবাকে ডিজিটাল রুপ প্রদান করেন । দেশ পেলো সর্বপ্রথম সাব মেরিনক্যাবল প্রযুক্তিনির্ভর সেবা । বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে নির্মাণে আর কোন দুশ্চিন্তা নেই বলে দাবী করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এখন ১৭ কোটি মানুষের ঘরে ইন্টারনেট ৫জী সেবা পৌঁছে গেছে । ডিজিটাল খাত সকল খাত কে ছাড়িয়ে যাবে। ১২/১২ ২০২১ ইং প্রধানমন্ত্রী ২০০৬ শত ইউনিয়নের উচ্চগতি সম্পন্ন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এর শুভ উদ্ভধন করেন। যেখানে ২৭৫০০ অপটিক্যাল ফাইবার সমৃদ্ধ .১৮৫০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উ”চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট- প্রযুক্তির সেবার আওতায় এসেছে। চট্টগ্রামের কালিয়াকৈর এ ১৬২৮৩ একর জমিতে ৯০,০০০ বর্গফুট এরিয়ায় হাই টেক সিটি প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। প্রযুক্তির অত্যাধুনিক সকল ব্যাবহার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আকাশ – স্থল ও পানিপথে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২১ উদযাপন অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী এসকল তথ্য তুলে ধরেন ।
ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২১ উদযাপন অনুষ্ঠানে গত ১২/১২/২০২১ইং গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন, ‘আমি আজকে থেকে আর কোন দুশ্চিন্তা নাই। প্রযুক্তি শিক্ষায় এবং জ্ঞান বিজ্ঞানের ভিত্তিতে দেশটা সে পথে অনেকদূর এগিয়ে গেছে এবং ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ ২০৪১ সালের উন্নত সোনার বাংলাদেশ গড়তে সৈনিকরা প্রস্তুত ।’ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন তিনি। সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক । হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা তাদের উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে অনেক কিছু আজকে তৈরি করছে। বাংলাদেশের জনগণ সেই সেবাটা পাবে,পাচ্ছে এবং তাদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ হচ্ছে।
তিনি বলেন, আজকের শিশুদের মেধা ও মনন বিকাশে তাঁর সরকার যে সুযোগ করে দিয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ না হলে তা সম্ভব ছিলনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছেলে-মেয়েদের মধ্যে যে মেধাকে দেশের কাজে লাগানোই তাঁর সরকারের লক্ষ্য। সেক্ষেত্রে সরকারের সত্যিই অনেক বড় সাফল্য অর্জন বর্তমানে ।
মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ থেকে উ”চতর আয়ের বাংলাদেশ যা প্রধানমন্ত্রীর ১২ বছর আগের রুপকল্প আজ বাস্তবায়িত হয়েছে সার্থকভাবে । ২০০৯ সালে কোন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ছিলোনা । বর্তমানে ২০২১ সালের বাংলাদেশ এখন ১৩ কোটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যাবহারকারি । ১০ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছে ।
১৩০০০ শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব । ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশী ইনকাম। ১ কোটি মানুষ জরুরী সেবা পাচ্ছে অ্যাপস এর মাধ্যমে প্রতি মাসে। যেখানে ১৬৫ থেকে ৩০০ কোটি টাকা লাগতো প্রায় ১৮ কোটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভ্যাক্সিন কিনতে । সেখানে অনেক কম টাকায় ভ্যাক্সিন কিনেছে সরকার তথ্য প্রযুক্তির ব্যাবহারের জন্য। সাড়ে ৭ কোটি মানুষ ভ্যাক্সিনরে জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে । ৬ কোটি ৭০ লাখ মানুষ ভ্যাক্সিন নিয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার হিসেবে ক্রেষ্ট, সম্মাননা সনদ এবং নগদ অর্থের চেক বিজয়ীদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
Discussion about this post