শিক্ষার আলো ডেস্ক
টানা ৬৪১ দিন পর বাসভবন থেকে বের হলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। এর আগে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ সশরীরে অফিস করেন উপাচার্য।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বাসভবন থেকে বের হন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। পরে নিজ গাড়িতে করে অন্যান্যদের সঙ্গে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে যান। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
শপথগ্রহণ শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘আজকের এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান একটি ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের একটু স্বাধীন দেশ ও লাল সবুজের পতাকা দিয়ে গেছেন। আমাদের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে হাত রেখে, স্বাধীন বাংলাদেশের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যাওয়া। আমরা এখন শিক্ষিত হয়েছি। আফ্রিকার অনেক দেশের মানুষের চাইতে বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে। আমাদের জাতি, ধর্ম,বর্ণ ভুলে অসাম্প্রদায়িক হয়ে বসবাস করতে হবে।’
এসময় তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে অনেক মানুষ মারা গেছেন। আমাদের সর্তক থাকতে হবে। আমরা যেন সুস্থ থেকে দেশের প্রয়োজনে কাজ করতে পারি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. শেখ মঞ্জুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ রাশেদা আক্তার, রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজসহ বিশ্ববিদ্যালয় শতাধিক শিক্ষক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০২০ সালের ১৫ মার্চ সশরীরে অফিস করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা। এরপর থেকে এতদিন বাসায় বসে অনলাইনেই প্রশাসনিক সব কাজ করে আসছিলেন তিনি। সে হিসাবে ৬৪১ দিন দপ্তরে অনুপস্থিত ছিলেনেউপাচার্য। এমনকি চলতি বছরের ৯ অক্টোবর থেকে ২২ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় কেন্দ্র পরিদর্শনেও যাননি তিনি।
এ বিষয়ে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রাইয়ান রাইন বলেন, ‘আমরা উপাচার্যকে স্বাগত জানাই। এতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাজ সশরীরে চললেও উনি বাসাতেই ছিলেন। আশা করি তার এ বের হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকে আরও গতিশীল করবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি বলেন, ‘অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম প্রায় দুই বছর পর জনসম্মুখে আসায় খুশি হওয়ারও কিছু নেই, দুঃখ পাওয়ারও কিছু নেই। ৬৪১ দিন পর তার জনসম্মুখে আসা বরং স্মরণ করিয়ে দেয় যে এই টানা ৬৪১ দিনে প্রশাসনিক কাজ-কর্মে দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হয়েছে, যার ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ সব অংশীজন।’
Discussion about this post